এ দিন তিনি বলেন, "মোদিজী কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই লকডাউন করেন। করোনা এলে মোদি বলেন, হাততালি দাও। দীপ জ্বালাও। করোনা কি এসবে চলে গিয়েছে?" রাহুলের যুক্তি, করোনা নিয়ে চিন্তিত নয় কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার।
রাহুল গান্ধি বিজেপিকে একহাত নিয়ে এ দিন বলছিলেন, "গেরুয়াশিবির বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। বাংলাকে বাঁচাতেই এসেছি। যে ভাবনা বিজেপি বাংলায় ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তা-ই অসম, তামিলনাড়ুতে করছে বিজেপি।" অর্থাৎ মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধেই ভোট চাইছেন তাঁরা, বোঝাতে চাইলেন সেটাই।
advertisement
এল বাংলার প্রসঙ্গ। রাহুলের ব্যখ্যা বাংলার জন্য মোদি-দিদি কিছুই করেনি। তাঁর কথায়. "বাংলার জন্য কী করেছেন মোদি? কী করেছে মমতার সরকার? নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য একটাই। নিজেদের মধ্যে সকলকে লড়াই করিয়ে দেওয়া। যাতে তাঁরা প্রশ্ন করতে না পারেন। কত লোককে চাকরি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি? ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছেন। এমন আইন তৈরি করেছেন, প্রথমে ছোট দোকারদারদের মেরেছেন, এখন কৃষকদের মারছেন।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে বিরোধীদের মনোভাব বলতে গিয়ে তাঁর উবাচ, "শ্রমিকেরা হাতজোড় করে বলেন, আমরা ঘরে যেতে চাই। তবে সোনার বাংলাওয়ালার বলেন, তোমারা না খেয়ে পেয়ে মরে যাও। সে সময়ই নরেন্দ্র মোদি নিজের ৫-১০ বন্ধুর কর মাফ করেন।"
ভোটের চারদফা মিটলেও রাহুল গান্ধি কেন বাংলায় আসেননি, এই নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। অস্তস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অধীর চৌধুরীকে। অসমে দেখা গেলেও রাহুলের পা পড়েনি লাগোয়া বঙ্গভূমে। অবশেষে তিনি এলেন, যদিও দেখলেন, জয় করলেন -এই কথা বলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।