গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ৷ পুলওয়ামাতে সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী ৷ এই হামলার জেরে ৪২ জন জওয়ান শহিদ হন ৷ এরপরই ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ায় ৷ যার জেরেই চাপের মুখে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল পাক সরকার ৷ এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের ৷
advertisement
পাক সরকারের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ভাওয়ালপুরে মাদ্রাসাতুল সাবির এবং জামা-ই-মসজিদের দখল নিয়েছে পাক প্রশাসন ৷
সূত্রের খবর, জইশ ই মহম্মদের প্রধান কার্যালয় হিসেবেই মনে করা হয় এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ৷ জইশ ই মহম্মদের এই ডেরাতে রয়েছে ৭০ জন শিক্ষক ৷ এই ডেরাতেই ৬০০ জন পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা কমিটির একটি জরুরি বৈঠক হয় ৷ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে এই বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসিয়াত নামের দুটি জঙ্গি প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করা হবে ৷ পাশাপাশি জইশ ই মহম্মদের সদর দফতর দখল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিনের মিটিংয়েই ৷
তবে, জইশ ই মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহার ৷ সেক্ষেত্রে এই জঙ্গি সংগঠনকে চাপে রাখতে নাকি মাসুদ আজাহারকে সুরক্ষা দিতে এই জঙ্গি ঘাঁটিতে পুলিশ প্রহরার সিদ্ধান্ত নিল পাক প্রশাসন ৷ সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷