ইতিমধ্যেই ওপরাকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারের নানা বক্তব্য ঘিরে তুলকালাম চলছে ব্রিটেনে। অনেকেই বলছেন যে প্রিন্স হ্যারি স্বেচ্ছায় রাজপরিবার ত্যাগ করে আসেননি, বরং তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেই গায়ের ঝাল মেটাতেই না কি তিনি নিজের পরিবার এবং বাবা প্রিন্স চার্লসকে (Prince Charles) নিয়ে যা খুশি তাই বলে চলেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। এই কারণেই মেগানের সঙ্গে তিনিও সরব হয়েছেন ওপরার কাছে।
advertisement
মেগান এবং হ্যারি দু'জনেই জানিয়েছেন যে তাঁদের বিয়ে নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি তুলেছিলেন বর্ণবিদ্বেষী প্রিন্স চার্লস। তিনি না কি জানিয়েছিলেন যে মেগান নিখাদ শ্বেতাঙ্গ নন, সে কারণে ব্রিটেনের রাজপরিবারের শুদ্ধ রক্ত দূষিত হবে। এই পরিবারে জন্ম নেবে এমন এক সন্তান যে নিখাদ ফর্সা নয়! এই বর্ণ-অশুদ্ধি যাতে না ঘটে, সেই জন্য ছেলেকে সাবধান করেছিলেন তিনি!
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে বক্তব্যে প্রিন্স হ্যারি সরাসরি বাবার নাম নেননি। তিনি শুধু রাজপরিবারের আপত্তি বলে বিষয়টা উল্লেখ করেছিলেন। ওপরা যখন জানতে চান যে এটা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) আপত্তি কি না, তখন স্পষ্ট না বলে দেন প্রিন্স হ্যারি। সেই হিসেবে তাঁকে বারণ করার অধিকারী একজনই পড়ে থাকেন বাকিংহাম প্যালেসে, তাঁর বাবা প্রিন্স চার্লস!
সঙ্গত কারণেই এই বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে দেশকে। যদিও সেখানকার বিখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ ব্ল্যাক কয়ার জানাচ্ছে অন্য কথা। এই গায়ক-দলের দাবি, প্রিন্স হ্যারি যখন সরাসরি নাম নেননি, তখন বিষয়টা প্রিন্স চার্লসের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। কেন না, প্রিন্স চার্লস-ই ছেলের বিয়েতে এই কৃষ্ণাঙ্গ গায়কদের সঙ্গীত পরিবেশনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই দিকটা মাথায় রেখে বর্ণবিদ্বেষী তকমা তাঁকে দেওয়া যায় না!
Written By: Anirban Chaudhury
