অশান্ত গোটা বিশ্ব। শুক্রবার বাস্তিল দিবসের ফের রক্তাক্ত হয়েছে ফ্রান্স। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজনৈতিক সংকটের মুখে তুরস্ক। শুক্রবার গভীর রাতে তুরস্কের বিদ্রোহী সেনার অভ্যুত্থানে দিশাহারা হয়ে পড়ে গোটা দেশ। মাঝরাত থেকে আচমকাই গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারা। জাতীয় টেলিভিশন থেকে বিদ্রোহী সেনাবাহিনী গোটা দেশের উদ্দেশ্য জানায়, প্রশাসনিক ক্ষমতা তারা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। সেই সময়ে ছুটিতে ছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তেয়ইপ এরডোগান। শনিবার ভোররাতে ইস্তাম্বুলে ফিরে আসেন তিনি।
advertisement
আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছে বিদ্রোহী সেনারা। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর দখলমুক্ত করা হয়েছে। ৩৩৬ বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরডোগান। এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রাত থেকে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে তুরস্ক। গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইস্তানবুল ও আঙ্কারা। বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি তুরস্কের সেনাপ্রধান। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন সামরিক কর্তাকে। তুরস্কের সংসদ ভবনেও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এটা সামরিক বাহিনীতে থাকা সংখ্যালঘুদের কাজ বলে দাবি প্রেসিডেন্টের। দেশজুড়ে জারি করা হয় কার্ফু। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব। সেনার তরফে ই-মেলে জানানো হয়, গণতন্ত্র, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ। তবে এর প্রভাব বিদেশ নীতির ওপর পড়বে না। ভারতীয়দের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে তুরস্কের ভারতীয় দূতাবাস।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা বাহিনীর একাংশ বেআইনিভাবে রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা করছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন তারা দখল করেছে। দেশবাসীকে আস্বস্ত করে তিনি জানান, কঠোর হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রে আঘাত কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ইস্তানবুলের দুটি সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সেনা। আঙ্কারার আকাশে ঘুরছে সেনার হেলিকপ্টার। আতাতুর্ক বিমানবন্দরের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা বাহিনীর ট্যাঙ্ক। সমস্ত উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের পণবন্দি করে আঙ্কারায় সেনার সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তুরস্ক স্টেট ব্রডকাস্টারের ভবনেও ঢুকে পড়েছে সেনা।
ভারতীয়দের জন্য দুটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে, অঙ্কারা -905303142203, ইস্তানবুল- 905305671095