যে কোনও দেশের গণতন্ত্র তার জনগণকে অধিকার দিয়েছে যে তারা জাতির উন্নতির স্বার্থে নিজের মতো কাজ করে যেতে পারেন। কেউ সেনাবাহিনীতে অফিসার হয়ে দেশের উন্নতির জন্য উদ্যোগ নেন, কেউ আবার সাধারণ সাফাইকর্মীর কাজ করে দেশের উন্নতিতে নিজেকে নিয়োগ করেন। কিন্তু স্রেফ নেতা হয়ে সমাজের উন্নতির কথা ভাববেন এ যেন আমরা কল্পনাই করতে পারি না। ব্রাজিলের এক মহিলা রাজনৈতিক পদপ্রার্থী আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ায়ে দেশের উন্নতির কথা সদর্পে ঘোষণা করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আজব কাণ্ড ! উড়ানকর্মীকে মাঝআকাশে চড় মারলেন বৃদ্ধা যাত্রী!
ওই মহিলা প্রার্থী সম্পর্কে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সহ সমস্ত মাধ্যমে ঝড় উঠেছে, কারণ তিনি পূর্বে ব্রাজিলের প্রাপ্তবয়স্ক বা অ্যাডাল্ট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর নাম ব্রাজিলের গুগলে সর্বাধিক বার সার্চ করা হয়।
৪১ বছর বয়সী এলিসা সানচেস এক সময় ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন, কিন্তু এখন তিনি সমাজসেবা করতে চান। এর জন্য তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। এলিসা ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টির একজন সদস্য এবং এই বছরের মার্চে তাঁর সদস্যপদ ঘোষণা করার পর রাতারাতি তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি ব্রাজিলিয়ান কর্মী গ্যাব্রিয়েলা লেইটের দ্বারা অনুপ্রাণিত, গ্যাব্রিয়েল পতিতাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করতেন। কিন্তু গত ২০১৩ সালের অক্টোবরে মারা যান।
আরও পড়ুন: ৭০০ বেশি পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের, স্বীকারোক্তি জনপ্রিয় তারকার, তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
এলিসা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি যৌনকর্মীদের অধিকারের জন্য প্রচার কাজ চালিয়ে যাবেন এবং তাঁদের পক্ষে লড়াইও করবেন। এলিসা এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর প্রচারকাজ শুরু করেছেন। ভোটারদের আশ্বস্ত করে এলিসা জানিয়েছেন যে তিনি চেম্বার অফ ডেপুটিজে স্থান পেলে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং নারীদের ক্ষমতায়ণের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন। ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলিসা বলেছেন যে, ‘আমি প্যাট্রিওটা, রিও ডি জেনিরো থেকে ফেডারেল ডেপুটি পদের প্রার্থী। নির্বাচিত হলে আমি স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও নারীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করতে চাই’।
নিজের জীবনের কথা স্মরণ করে এলিসা জানান, কীভাবে তিনি এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিকার হয়ে একাই তাঁর মেয়েকে বড় করে তুলেছেন। এমতাবস্থায় তিনি নারীর উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে চান। এলিসা আরও বলেন যে তিনি এমন আইন আনতে চান যাতে যৌনবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত নারীরা তাঁদের প্রাপ্য অধিকার পেতে পারেন এবং সহজ-স্বাভাবিক ভাবে তাঁদের জীবন কাটতে পারে!