বহু মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে পরিবারের দেখা করার অনুমতি গত এক মাস ধরে বন্ধ। বহুবার আবেদন করেও অনুমতি না পাওয়া যাওয়ায় তাঁর বোনেরা—নুরিন নিয়াজি, আলিমা খান এবং ড. উজমা খান—পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে জেলের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
advertisement
আজ ৫ লক্ষ টাকার সোনা কিনলে ২০৩০ সালে তার দাম কত হবে? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন
বোনেদের অভিযোগ, তাঁরা শান্তভাবে বসে থাকতেই পুলিশ সদস্যরা তাঁদের উপর “ঝাঁপিয়ে” পড়ে। পিটিআই এই ঘটনাকে বর্ণনা করেছে—“ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার আবেদনই যেন অপরাধ”, যার কারণেই এই দমনপীড়ন।
পাঞ্জাব পুলিশপ্রধান উসমান আনোয়ারকে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে তিন বোন অভিযোগ করেছেন, হামলাটি ছিল “নৃশংস ও পরিকল্পিত”, এবং কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তা চালানো হয়। নুরিন নিয়াজির দাবি, তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেননি বা কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি করেননি; কেবল ভাইয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানাতে জড়ো হয়েছিলেন।
নিয়াজি বলেন, “আমরা তাঁর শারীরিক অবস্থার উদ্বেগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। আমরা রাস্তা আটকে দিইনি, গণচলাচলে বাধা সৃষ্টি করিনি, কোনও বেআইনি কাজও করিনি। তা সত্ত্বেও হঠাৎ এলাকায় স্ট্রিটলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকার সৃষ্টি করা হয় ইচ্ছাকৃতভাবে। তারপরই পাঞ্জাব পুলিশের সদস্যরা নৃশংস ও পরিকল্পিত হামলা শুরু করে।”
৭১ বছর বয়সি নিয়াজি জানান, তাঁকে “চুলের মুঠি ধরে টেনে মাটিতে ফেলা হয় এবং রাস্তা দিয়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়”, যার ফলে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন রয়ে গেছে। তাঁর দাবি, উপস্থিত অন্যান্য নারীকেও চড়, ধাক্কা এবং টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো আচরণ করা হয়েছে।
তাঁর কথায়, এই ঘটনা গত তিন বছরে শান্তিপূর্ণ পিটিআই সমর্থকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের “বিস্তৃত ধারা”র অংশ। নিয়াজির মন্তব্য, “পুলিশের এই আচরণ সম্পূর্ণ অপরাধমূলক, বেআইনি, নৈতিকভাবে নিন্দনীয় এবং গণতান্ত্রিক সমাজে কোনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার মৌলিক দায়িত্বের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”
তিন বোনের দাবি, পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সব পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করুন।
