রিপোর্ট অনুযায়ী, আদ্রিয়ানা নেওগে-এর পরিবার কয়েকদিন ধরেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিল। একাধিকবার চেষ্টার পরও উত্তর না মেলায় তারা পুলিশের সাহায্য চায়। পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা ওই মহিলার বাসভবনে ঢুকে রীতিমতো তাজ্জব বনে যান। এমন ছবি দেখতে হবে তারা কেউই ভাবতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ঘটনা, দিনে দুপুরে এক শিশু ও ব্যক্তিকে ছুড়ি দিয়ে কোপাল দুষ্কৃতি! জানুন ঘটনাটি
advertisement
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই মহিলার দেহ মেঝেতে পড়েছিল। তার বেশ কিছু প্রিয় পোষ্য কুকুরও ছিল। সেই কুকুরগুলিও ওই মহিলার পাশেই শুয়ে ছিল। মহিলার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও পুলিশ রীতিমতো ধোঁয়াশায়। তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কুকুরগুলিই মালিকের শরীরের অধিকাংশ খেয়ে ফেলেছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত কয়েকদিন না খেতে পাওয়ার কারণেই পোষ্যরা এমন আচরণ করেছে বলে অনুমান।
পরে পুলিশ অফিসিয়ালরা কুকুরগুলোকে উদ্ধার করে একটি পশু আশ্রয়ে নিয়ে যান। পুরো বিষয়টি নিয়ে আপাতত তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: ‘আমেরিকা হাতের খেলনা নয়’, দায়িত্ব নিয়েই গর্জে উঠলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প!
নেওগের মৃত্যু ব্যাপারটা তার বোন ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমার সুন্দর বোন আন্দা সাসা (মারিয়া আদর করে নেওগে-কে ডাকতেন) আর আমাদের মধ্যে নেই।”
নেওগের এর আকস্মিক মৃত্যুর খবর তার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের হতবাক করে দিয়েছে, অনেকেই তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “শোকবার্তা, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি খুব দুঃখিত।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “আমার আন্তরিক শোকবার্তা আপনার জন্য! আমি হতবাক। তার কি হয়েছিল?”
একজন লিখেছেন, “আমি বিধ্বস্ত! ঈশ্বর তাকে রক্ষা করুন এবং আপনাকে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।” একজন লিখেছেন, “শোকবার্তা। দয়া করে আমাকে জানান যদি আমি কোনও সাহায্য করতে পারি।” এছাড়াও, নেওগের পরিবার জানিয়েছে তার শেষকৃত্য শুক্রবার দুপুরে একটি লোকাল চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল তাও নয়। একই ধরনের একটি ঘটনা ২০২৩ সালেও ঘটেছে। ৬৭ বছর বয়সী এক মহিলার দেহ আর্জেন্টিনার তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই দেহটিরও বেশ কিছুটা অংশ তার পোষা কুকুর খেয়ে ফেলেছিল। পরে জানা যায়, ওই মহিলা আলঝেইমারের রোগী ছিলেন, এবং তিনি একাই থাকতেন।