ছত্রে ছত্রে রোমাঞ্চে ভরা ঘটনাটি অ্যান্টার্কটিকার গেরলাচে স্ট্রেইটে (Gerlache Strait) ঘটেছে। ছোট ডিঙিতে হিমশীতল জলে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন পর্যটকরা। যারা প্রত্যক্ষ করেন ক্ষুধার্ত তিমি ও পেঙ্গুইনের জীবন-মরণ খেলা। কোনও মতে প্রাণে বেঁচে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ওই ক্ষুদ্র প্রাণী। হাড় হিম করা ওই দৃশ্য দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেন পর্যটকরা।
কারও মতে সাধারণত এমন দৃশ্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে দেখা যায়। একটি বড় তিমি পর্যটকদের ছোট নৌকা বা ডিঙির আশেপাশে শান্ত ভাবে জলে ভেসে বেড়াচ্ছিল। জলজ প্রাণীর অপরূপ শোভা দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলেন সকলে। আপাত নিরীহ ওই প্রাণীকে খাবারও দিচ্ছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু আচমকাই পুরো পরিবেশ ওলোট-পালোট হয়ে যায়, যখন জলে নামে এক ছোটখাটো পেঙ্গুইন। পর্যটকদের মোহ ভেঙে তিমিটি সেই প্রাণীর দিকে ধেয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। বিপদের আঁচ পেয়ে ছুট লাগায় ওই পেঙ্গুইনও।
advertisement
ছোটখাটো পেঙ্গুইনটিকে উদরস্থ করাই ওই তিমির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেই মতো সাঁতরে টার্গেটের কাছে পৌঁছনোর মরিয়া চেষ্টা চালায় ওই প্রাণী। অন্য দিকে, পেঙ্গুইনও প্রাণ বাঁচাতে খুঁজতে থাকে অবলম্বন। আর কিছু না পেয়ে পর্যটকদের নৌকাকেই প্রাণ বাঁচানোর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় ওই ক্ষুদ্র প্রাণী। লাফিয়ে সেখানে ওঠার চেষ্টা করে ওই পেঙ্গুইন। প্রথমটাতে ব্যর্থ হয় প্রচেষ্টা। ইতিমধ্যে মৃত্যুদূত চলে আসে তার আরও কাছে। ফলে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ওই পেঙ্গুইন। শেষবারের মতো ডিঙিতে লাফ দেয় ওই প্রাণী। এক কোণায় আটকে যায় তার পা। এর পর পর্যটকরাই তাঁকে ডিঙিতে তুলে নিলে রণে ভঙ্গ দেয় ওই তিমি।
পশুবিদ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এ ধরনের ঘটনা এই অঞ্চলে আকচার ঘটে থাকে। পেঙ্গুইনরা যে নীল তিমিদের পছন্দের খাবার, তা প্রকৃতির খেয়াল। তবে এর আগে কোনও পর্যটকের ক্যামেরায় এ ধরনের ঘটনা ধরা পড়েনি বলা চলে!