বলেছেন, ‘‘আমার পূর্বপুরুষরা কয়েকশো বছর ধরে এই মন্দিরে পুজো করেছেন, সেবা করেছেন ৷ এই স্থানকে পরিত্যক্ত করে আমি যাব না ৷ যদি তালিবানরা আমাকে হত্যা করে, আমি তাকেও আমার সেবা বলেই ধরে নেব ৷ রাজেশকুমার জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন তাঁর কাছে এসেছিলেন সাহায্যের প্রস্তাব নিয়ে ৷ নিরাপদ স্থানে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি রাজি হননি ৷
advertisement
শেষ বিন্দু কাবুলের পতন হওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান এখন কার্যত তালিবানিস্তান ৷ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি ৷ পালানোর রাস্তা খুঁজতে বিমানের সঙ্গে ঝুলে পড়তেও দ্বিধা করছেন না অসহায় কাবুলবাসী ৷ বিমান থেকে তাঁদের দেহ খসে পড়ার ছবি দেখে আঁতকে উঠছে বিশ্ব ৷ নড়বড়ে দেওয়ার টপকে পা রাখার চেষ্টা চলছে কাবুল বিমানবন্দরে ৷ তালিবানি শাসনে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মহিলাদের জন্য ৷ তাঁরা কার্যত প্রমাদ গুনছেন ৷
ডিএসডিএমসি বা দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট-এর প্রেসিডেন্ট মনজিন্দর সিং সিরসা বলেছেন, হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন কাবুলের কারতে পরওয়ান গুরুদ্বারে ৷ কাবুলের গুরুদ্বার কমিটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে জানান মনজিন্দর ৷
তিনি জানিয়েছেন, কাবুলের গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছেন ৩২০ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ ‘‘তালিবান নেতারা এই আশ্রয়গ্রহণকারী মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও ৷ ’’ বলেছেন মনজিন্দর ৷