ওশিয়ানগেটের (যে কোম্পানি ওই ডুবোযান তৈরি করে) সিইও স্টকটন রাশ বিগত এক বছর ধরে জে-কে টাইটানে সওয়ার হওয়ার জন্য রাজি করিয়েছিলেন। স্টকটনের কথায় খানিক প্রভাবিতও হয়েছিলেন তিনি। অতলান্তিকে গভীরে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী ছিলেন তাঁর ২০ বছরের ছেলেও। তবে শেষমেশ পিছিয়ে আসেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : অতল অতলান্তিকে টাইটানিকের ৫০০ মিটার দূরে ৫ যাত্রীকে নিয়ে নিথর ‘টাইটান’! কেন ধ্বংস হল এই ডুবোজাহাজ, জানুন
advertisement
টাইটান আদৌ কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে জে-র মনে খানিক সঙ্কোচ ছিল। তাই শেষ মুহূর্তে তিনি সেই অভিযান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। সময়ের অভাবে অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এর পরেই জে এবং তাঁর ছেলের জন্য সংরক্ষিত টিকিট পান পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ এবং সুলেমান দাউদ। টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ দেখতে গিয়ে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে এক পথ দুর্ঘটনায় কাছের বন্ধুকে হারান জে। তার পরেই যেন আরও সাবধানী হয়ে ওঠেন তিনি। যে সব জিনিসপত্র দিয়ে টাইটান তৈরি এবং চালানো হয়েছে, তা জে-র কাছে বিশেষ ঠিক বলে মনে হয়নি। যার ফলে শেষ পর্যন্ত টাইটানে সওয়ার হননি তিনি।