বিষয়টি শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার থেকে৷ গাজা-প্যালেস্তাইনে মার্কিন মধ্যস্থতায় সামরিক চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করছে এই পাকিস্তানি কট্টরপন্থী দল TLP৷ গত শুক্রবার সেই প্রতিবাদে ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে পদযাত্রা শুরু করেছিল তারা লাহৌর থেকে৷
সোমবার ৭,০০০ এরও বেশি টিএলপি সমর্থক লাহৌর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের মুরিদকে শহরে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। টিএলপি নেতা এবং সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে, সোমবার ভোরে নিরাপত্তা বাহিনী “ছত্রভঙ্গ অভিযান” শুরু করে।
advertisement
টিএলপি প্রথমে বলেছিল যে তারা ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করছে৷ পরে দলটি দাবি করে যে, তারা প্যালেস্তিনীয়দের সাথে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদ করছে।
স্থানীয় পাক পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এই হিংসার ঘটনা প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলেছিল৷ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে পেরেক লাগানো লাঠি, ইট, পেট্রোল বোমা এমনকি বন্দুকও এনেছিল বলে দাবি করেছে পাক পুলিশ৷ সেই সমস্ত অস্ত্রে বলিয়ান হয়েই বিক্ষোভকারীরা চড়াও হয়েছিল পুলিশের উপরে৷
এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ৷’’তিনজন বিক্ষোভকারী এবং একজন বেসামরিক নাগরিকও মারা গেছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত।
পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে যে কমপক্ষে ৪০টি সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে আগুন লাগানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে যে পুড়ে যাওয়া যানবাহন এবং রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে৷ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে ইজরায়েল৷ লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় তাদের ধূলোয় মিশে যাওয়া ভিটেতে ফিরছে। প্রসঙ্গত, সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গাজা শান্তি পরিকল্পনা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মিশরে গিয়েছেন।