পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই ভারত প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ এবার ভারতের নিশানা যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর হতে পারে, সেই সম্ভাবনা নিয়েও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷ সীমান্তে পাকিস্তান এবং ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে একটানা গুলি বিনিময়ও চলছে৷ এই পরিস্থিতিতে মুখে দেশের নেতারা যত বড় বড় কথাই বলুন না কেন, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে যে পাকিস্তান যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখছে, তা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল৷
advertisement
চৌধুরী আনওয়ার উল হক বিধানসভায় বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ১৪টি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের অন্তত দু মাসের জন্য খাবার মজুত করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ খাবার, ওষুধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জরুরি সামগ্রী মজুতের জন্য ৩৫ লক্ষ ডলারের একটি আর্থিক তহবিলও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
এর পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকাগুলির রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে৷ যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর পৌঁছতে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই তড়িঘড়ি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে রাস্তাগুলির হাল ফেরানো হচ্ছে৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে ভারত বিরোধী মিছিলও সংগঠিত করা হয়৷ সেই মিছিল থেকে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা ফারুখ রহমানি সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেন, ‘আমরা যে পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে আছি, তা বোঝাতেই এই মিছিল৷ ভারত যদি এখানে কোনওরকম দুঃসাহস দেখাতে আসে, তার জবাব দিতে আমরা তৈরি৷’