সৌদি ও সংযুক্ত আরব এমিরেটস পুলিশ সম্প্রতি বিশেষ ভিক্ষা বিরোধী অভিযানে নেমেছিল{ তারা জানিয়েছে, বিশেষ করে রমজান এবং উমরাহ মরসুমে এই ভিক্ষাবৃত্তির সংখ্যা বেড়ে যায়। ভিক্ষা করতে গিয়ে প্রথমে ধরা পড়া ব্যক্তিদের আটক করা হয়, জরিমানা করা হয় এবং তারপর নির্বাসিত করা হয়৷ প্রায়শই পরে তাদের ওই দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
advertisement
ওই সমস্ত দেশের কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করেছেন যে, অনেক ভিক্ষুক ব্যক্তিগতভাবে নয় বরং সংগঠিত নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে ওই সমস্ত দেশে গিয়ে ভিক্ষা করে। এতে এজেন্সিগুলি ওই সমস্ত দেশে পাকিস্তান থেকে ভিক্ষা করার জন্য লোক পাঠায় এবং বদলে তাদের ভিক্ষার্জন থেকে কমিশন নেয়৷
পাকিস্তানিদের অনেকেই স্বল্পমেয়াদী ভিসা, উমরাহ জন্য ভিসার আবেদন করে৷ তারপর পর্যটক বা পুণ্যার্থী হিসাবে ওই সমস্ত দেশে গিয়ে ভিক্ষা করেন৷
এবার তাই এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদী ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করছেন তাঁরা৷ কম টাকা, বিদেশ যাত্রার তেমন ইতিহাস না থাকা, বা বারবার স্বল্পমেয়াদী ভিসার আবেদন করা ব্যক্তিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না৷ কারণ এরা, ওই সমস্ত দেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে৷
চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি জানিয়েছে, তারা প্রায় ৬৬,০০০ পাকিস্তানিকে বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে৷ অন্যদিকে, গালফ অঞ্চলের একাধিক দেশ থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের দেশে গিয়ে ভিক্ষা করা কমপক্ষে ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে৷
গালফ দেশগুলির সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামাবাদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছে৷ এটিকে পাকিস্তানের সুনাম এবং নিরাপত্তার নিরিখে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় বলে অভিহিত করেছে তারা। এই চাপের কারণে পাকিস্তানের এফআইএ বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে৷ ট্রাভেল এজেন্ট এবং মানব পাচারকারীদের বিষয়ে তদন্ত বেড়েছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মহসিন নকভি দাবি করেছেন, যাঁরা পাকিস্তানের নাম খারাপ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সম্মান এবং যাত্রীসুরক্ষা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বরপূর্ণ বিষয়৷’’
