কট্টরপন্থা
বিশ্বের বড় অংশের চাপে গত কয়েক বছরে জঙ্গি নিধনে গুরুত্ব দিয়েছে পাকিস্তান৷ কিন্তু বিশেষঞ্জমহলের মতে, কট্টরপন্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পাকিস্তান৷ যার নির্যাস, বারবার জঙ্গি নিধন করলেও সন্ত্রাসবাদী হামলা হচ্ছে সে দেশে৷ ইতিমধ্যেই নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক হামলায় ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে৷ আন্তর্জাতিকমহলের দাবি, বেশ কয়েক বছর কোণঠাসা থাকার পর ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি৷
advertisement
ভোট দিচ্ছেন জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা-র প্রধান হাফিজ সইদ৷
অর্থনীতি
অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ পাক সরকারের কাছে৷ অবস্থা এমন শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ৫ বছরের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডে দ্বিতীয় বেল-আউটের আবেদন করতে পারে পাকিস্তান৷ চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রপ্তানি শিল্প ও পরিকাঠামোগত শিল্পে কয়েক হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে৷ কিন্তু সেই প্রকল্পগুলি যৌথ৷ ফলে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার ক্ষমতা ইসলামবাদের আছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷
এর সঙ্গে আবার অশোধিত তেলের দাম বাড়ার সমস্যাও বাড়তি যোগ হয়েছে৷ পরবর্তী সরকার এই সমস্যা সমাধানে খুব কম সময় হাতে পাবে৷
জনসংখ্যা
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করলেও পাকিস্তানে জন্মের হার বর্তমানে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, গড়ে প্রতিটি মহিলার ৩টি করে সন্তান৷
উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অর্থনীতির কাছে ধাক্কা৷ আরও একটি বড় সমস্যা হল, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নানা পদক্ষেপ পাক জনতার কাছে ট্যাবু৷
জলের সমস্যা
পাকিস্তানে যে হারে জলের সমস্যা বাড়ছে, তাতে খুব শীঘ্রই বড়সড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে দেশের জনগণকে৷ সরকারি ডেটা বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রবল জলসংকট তৈরি হবে পাকিস্তানে৷ নাগরিক পিছু ৫০০ কিউবিক মিটারেরও কম জল জুটবে৷
পাক সরকারকে জল সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি জলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনগণকে শিক্ষিত করতে হবে৷
জনতা-সেনা সম্পর্ক
৭১ বছরের ইতিহাসে প্রায় অর্ধেক সময় পাকিস্তান সেনা শাসন দেখেছে৷ সেনা ও জনগণ নির্বাচিত সরকারের মধ্যে অসম ক্ষমতা বণ্টনে ধাক্কা খাচ্ছে দেশটির বৃদ্ধি৷
নওয়াজ শরিফের জেলের পর পাক সমাজকর্মীদের অভিযোগ, সেনা এমন একটি সরকার গঠন করতে চাইছে, যারাতাদের হাতের পুতুল হয়ে কাজ করবে৷ তার জন্য তারা রাজনৈতিক নেতা ও সংবাদমাধ্যমের উপর নানা ভাবে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে৷