বাশারের স্ত্রী আসমা সিরিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। লন্ডনেই আসমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। বাশারও লন্ডনে পড়তে যান। সেখানেই তাঁদের আলাপ এবং প্রেম। এরপর ২০০০ সালে দুজনে গাঁটছড়া বাঁধেন।
বিয়ের সময় আসমার বয়স ছিল ২৫ বছর। তিনি জেপি মর্গ্যানে কাজ করতেন। বিয়ের পর দু’জনেই থিতু হন সিরিয়ায়। বাশার বাবার হাত থেকে ক্ষমতা পেয়ে সিরিয়ার সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। রাজার হালে জীবন কাটাতে শুরু করেন আসমাও।
advertisement
তুরস্ক এবং আরবের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসমা রাশিয়ার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। মস্কো ছাড়ার অনুমতিও চেয়েছেন তিনি। তবে এখনও অনুমোদন মেলেনি। তাঁর আবেদন বিবেচনা করা দেখছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, আসমা অসুস্থ। ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। প্রথমে স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। সেরেও ওঠেন। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ফের লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হন। তবে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে “মস্কোর অসুখী” জীবনের কথাই বলেছেন তিনি।
ডিসেম্বরের শুরুতে বিদ্রোহ চরমে ওঠে। সিরিয়ার বড় অংশের দখল নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম গোষ্ঠীর বিদ্রোহীরা। অবশ্য তার আগেই সপরিবারে দেশ ছাড়েন বাশার। আর তার সঙ্গেই আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনেরও অবসান ঘটে।
দেশ ছেড়ে সোজা রাশিয়ায় পাড়ি জমান বাশার। তিনি এখন মস্কোতেই রয়েছেন। তবে কড়া নজরদারির মধ্যে। রাশিয়ান সরকার তাঁকে মস্কো ছাড়ার অনুমতি দেয়নি। কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেো তিনি যুক্ত থাকতে পারবেন না।
দ্য জেরুজালেম পোস্ট-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ান সরকার বাশার আল আসাদের যাবতীয় সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৭০ কিলো সোনা, ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মস্কোর ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট।
২০০০ সালে বাবা হাফেজ আল আসাদের কুর্সিতে বসেন বাশার আল আসাদ। প্রায় ২৪ বছর তিনি সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বিদ্রোহের পর ভাই মাহেল আল আসাদও দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালান। তবে তিনি এখনও আশ্রয় পাননি। তাঁর আবেদন পর্যালোচনা করে দেখছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।