পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাকিস্তানের ভিতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সামনে এসেছেন নিজের ভাই ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সহায়তা করতে।
advertisement
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত যখন ইন্দাস জলচুক্তি (IWT) স্থগিত করে, তখনই লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন নওয়াজ শরিফ। দেশে ফিরে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। শাহবাজ তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেন। তখনই নওয়াজ শরিফ পরামর্শ দেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারত পাক সম্পর্ক তলানিতে, পরমাণু আক্রমণ হলে কী করবেন! বাঁচার উপায় জানুন…
নওয়াজ শরিফ তাঁর দল PML-N পরিচালিত জোট সরকারকে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পদ ব্যবহার করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়ার পক্ষে নন বলেও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও নওয়াজ শরিফ ভারত-পাকিস্তান সুসম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, তিনি কারগিল যুদ্ধের বিরোধিতা করায় ১৯৯৯ সালে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “১৯৯৮ সালের ২৮ মে পাকিস্তান পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা করেছিল। তারপরে বাজপেয়ীজি পাকিস্তানে এসেছিলেন এবং আমাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই ‘লাহোর ডিক্লারেশন’ চুক্তি লঙ্ঘন করেছিলাম। মানতে দ্বিধা নেই, এটা আমাদের ভুল ছিল।” এরপরই সংঘটিত হয় কারগিল যুদ্ধ।