নয়াদিল্লি: ক’দিন আগেই নরমে গরমে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বলেছিলেন, রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা৷ এবার হুমকি এল ন্যাটোর কাছ থেকে৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, রাশিয়ার সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ত্যাগ না করলে ভারী মূল্য চোকাতে হবে ভারতকে৷ এবার সরাসরি ইন্ডিয়ার নাম নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন ন্যাটোর জেনারেল সেক্রেটারি মার্ক রাট৷
advertisement
গত সোমবারই ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রশস্ত্রের নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ আর তখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এসেছে আরেক দফা হুঁশিয়ারি৷ ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়া যদি শান্তি চুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের উপরে ১০০ শতাংশ কর বসাবে আমেরিকা৷ ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই মার্কিন সেনেটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল৷ আর তারপরেই ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি৷
আরও পড়ুন: বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে পথে মমতা-অভিষেক, নজর রাজনৈতিক মহলের
সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের রাট বলেন, ‘‘তিনটে দেশ নিয়েই বেশি ভাবছি আমি৷ বিশেষ করে আপনি যদি বেজিংয়ে থাকেন, কিংবা দিল্লিতে অথবা আপনি যদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে আপনাদের কিন্তু বিষয়টা একটু ঘেঁটে দেখা দরকার৷ তাহলে কিন্তু আপনাদের কপালে দুঃখ আছে৷’’
এরপরেই তাঁর হুমকি, ‘‘তাই পুতিনকে এক্ষুনি ফোন করুন৷ বলুন শান্তি চুক্তি নিয়ে এবার অন্তত যাতে উনি সিরিয়াস হন৷ কারণ, নাহলে ব্রাজিল. ভারত আর চিন বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে৷’’
রাট বলেন, ‘‘পুতিনের কাছে ৫০ দিন আছে৷ এর মধ্যে নয় পুতিনকে যুদ্ধ জিততে হবে, নাহলে শান্তি চুক্তিতে আসতে হবে৷ ’’ রুট আশ্বস্ত করেছেন যে ইউরোপ আলোচনার জন্য ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রাখার জন্য তহবিল সংগ্রহ করবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রয়োজনীয় তেলের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসে বাইরে থেকে। গত কয়েক বছর ধরে তেল আমদানির জন্য মস্কোর দিকে ঝুঁকেছে নয়াদিল্লি। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়া থেকে ভারত ৩৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। সম্প্রতি ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষের আবহে বিশ্বের জ্বালানি বাজারে এক অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি আরও বাড়িয়েছে ভারত। বাণিজ্যিক জাহাজের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণকারী সংস্থা ‘কেপলার’-এর তথ্য অনুসারে, গত জুন মাসেই রাশিয়া থেকে দৈনিক ২০.৮ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারতের শোধনাগারগুলি। সেই আবহে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিল ন্যাটো।