সোমবার CNN-News18-কে দেওয়া একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ভ্লাদিস্লাভ তেওফিল বার্তোশেভস্কি বলেছেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ওয়ারশ সফরে পেয়ে আনন্দিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মোদিই পুতিনকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। আমরা স্থায়ী শান্তি চাই।’’ তিনি জানিয়েছেন, একমাত্র মোদির কথা শুনেই পুতিন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে পারমাণিবক ক্ষমতাধর অস্ত্র ব্যবহার করেননি৷ এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণে বেঁচেছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের রহস্য কী? মোদির উত্তর ‘দু’জনের কাছেই দেশ সবার আগে’.
গত রবিবারই Lex Fridman-এর সঙ্গে এক পডকাস্টে মোদি শান্তির বার্তা স্বরূপ জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বসতে পারি এবং বলতে পারি যে,এটা যুদ্ধের সময় নয়, একইভাবে আমি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও বন্ধুর মতো বলতে পারি যে, ভাই, বিশ্বে যত মানুষই তোমার পাশে থাকুক, যুদ্ধের ময়দানে এর কোনও সমাধান নেই’’
তিনি আরও বলেন, “সমাধান তখনই আসবে, যখন ইউক্রেন এবং রাশিয়া আলোচনার টেবিলে বসবে। ইউক্রেন তার মিত্রদের সঙ্গে যত আলোচনা করুক না কেন, তাতে কোনও ফল হবে না। আলোচনায় উভয় পক্ষেরই অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রথম দিকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন ছিল, তবে এখন পরিস্থিতি এমন যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থবহ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “আমি সবসময় শান্তির পক্ষে। আমি নিরপেক্ষ নই। আমার একটি সুস্পষ্ট অবস্থান আছে, এবং সেটা হল শান্তি।”
এদিকে, বার্তোশেভস্কি বলেন যে পোল্যান্ড যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সহায়তা করে আসছে।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার শরণার্থী প্রবেশ করছে। আমরা শান্তিরক্ষা বাহিনী ও সামরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”