ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। তবে ফেরত পাঠানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনই সম্ভব নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ পাওয়ার পরে যা করার করা হবে। ওইসব পুলিশকর্তারা সামরিক সরকারের নির্দেশ পালন করতে অমান্য করেছিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেশে ফেরত গেলে প্রাণ সংশয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরিবার নিয়ে সংখ্যাটা প্রায় তিরিশ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করলে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং ধর্মঘট শুরু হয় মায়ানমারে। নেত্রী সু চিকে বাড়িতে বন্দী করে রাখা হয়। সামরিক বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দমাতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ষাট জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও হাজারের বেশি আটক হয়েছেন। এঁদের মধ্যে সমাজ কর্মী ছাড়াও সাংবাদিক রয়েছেন একাধিক।
advertisement
আমেরিকা হুমকি দিয়েছে দ্রুত মায়ানমারে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর। ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে এর পেছনে চিনের মদত আছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। মায়ানমার সেনা অবশ্য ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দোহাই দিয়ে ওই পুলিশ কর্তাদের দ্রুত ফেরত চেয়েছে। কিন্তু প্রাণ সংশয় থাকলে ভারত হয়তো মায়ানমার সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পদক্ষেপ নেবে। কোনও অবস্থাতেই যাতে ওই পুলিশ কর্মীদের জীবন সংশয় না হয় সেটা নিশ্চিত করবে ভারত।