ইতিমধ্যে প্রায় তিরিশ জন সাংবাদিককে জেলে আটক করে রাখা হয়েছে। সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ প্রমাণ করে গণতন্ত্রকে পিষে মারছে সেনা। আবার কবে সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে কোনও ঠিক নেই। দেশের মানুষের আওয়াজ দাবিয়ে রাখতে কোনও কিছুর খামতি রাখছে না জুন্টা সরকার। দেশের খবর যাতে বাইরে না যায় সেই চেষ্টা করে চলেছে তাঁরা।
advertisement
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেসরকারি তাচিলিক নিউজ এজেন্সি কেবেল কাটার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফাইবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এই কেবেল কাটা হয়েছে। এদিকে দেশের মানুষের পেটে খাবার নেই। খাদ্যশস্যের দাম নাগালের বাইরে পৌঁছে গিয়েছে। জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। সবচেয়ে বড় কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক হুমকি সত্ত্বেও বাগে আনা যাচ্ছে না জুন্টা সরকারকে। চিনের মদত যে এই ঘটনার পেছনে রয়েছে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে আটক নেত্রী সু চির নামে রোজই একটি করে নতুন অভিযোগ আনছে সেনাবাহিনী, যার অধিকাংশই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিশ্চিত বিদেশি কূটনীতিকরা। এখন দেখার আমেরিকার নেতৃত্বে পাশ্চাত্য দেশগুলো মায়ানমার সেনাকে শিক্ষা দিতে কোনও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা। জল কিন্তু মাথার ওপর চলে গিয়েছে। রক্তস্রোতে ভেসে যাওয়া মায়ানমারকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসে কিনা সেটাই দেখার।