সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার মতো ইউনূসের নিজের শহর চট্টগ্রামেও সংখ্যালঘু হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়৷ অভিযোদ, এর পরেই বলপূর্বক চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু বিক্ষোভ কমানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন ইউনূস৷ হাসিব আজিজ নামে এক পুলিশ কর্তাকে চট্টগ্রাম শহরের পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে ইউনূসের আমলে৷ অভিযোগ, সেই আজিজের নেতৃত্বেই চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধররপাকড় শুরু হয়৷ বিক্ষোভে লাগাম টানতে মিথ্যে মামলায় হিন্দুদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও খবর৷
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা দখলের হুমকি, বাস্তবে কতটা শক্তিশালী বাংলাদেশের সেনাবাহিনী? ভারতের সঙ্গে ফারাক কতটা?
ইউনূস সরকার ক্ষমতা দখল করা এবং সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন বৃদ্ধির পরই চট্টগ্রামে পথে নামেন সংখ্যালঘুরা৷ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায় সরকার বিরোধী মিছিল৷ মুখ বাঁচাতে এর পরই তৎপর হন ইউনূস৷ সংখ্যালঘু বিক্ষোভ দমনের দায়িত্ব পড়ে হাসিব আজিজের উপরে৷ রীতিমতো নিখুঁত ছক কষে কাজে নেমে পড়েন ইউনূসের আস্থাভাজন এই অফিসার৷ অভিযোগ, গোটা বিশ্বের সামনে উদারমনস্ক, শান্ত ভাবমূর্তির ইউনূসই নিজের শহরে সংখ্যালঘু দমনে হাসিস আজিজের মতো অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন৷
অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর দুটি মামলা দায়ের করে চট্টগ্রাম পুলিশ৷ ওই দুটি মামলার একটিতে ২৫০ থেকে ৩০০ জন এবং অন্য মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন বিক্ষোভকারীকে খুঁজছে পুলিশ৷ একই ভাবে ২৭ নভেম্বর আরও দুটি মামলা রুজু করে পুলিশ৷ এই দুটি মামলার একটিতে ৬০০ থেকে ৭০০ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে খুঁজছে পুলিশ৷
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এই মামলাগুলির অধিকাংশই বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিরগুলির পরিপন্থী৷ সবথেকে বড় কথা, হাসিব আজিজ নামে এই পুলিশ কর্তার নির্দেশেই ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়৷ ফিরোজ খান নামে এক বিএনপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন আজিজ৷ কারণ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন এবং তাঁর ডাকা বিক্ষোভ মিছিলগুলিতে বিপুল ভিড় হচ্ছিল৷
আরও অভিযোগ, শুধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ১৯০০ জনকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ৷ নাম সহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা৷ একদিকে যখন সংখ্যালঘুদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, গ্রেফতার চলছে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্তদের আড়ালও করছেন আজিজ৷ অভিযোগ, চট্টগ্রামে যখন সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুঠ চলছে, তখন হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় হিসেবে পরিচিত হাজারি গলি থেকে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ৷