সোমবার বাংলাদেশে রাজবাড়িতে দেশের সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেই মহড়া দেখতে উপস্থিত হন মহম্মদ ইউনূস৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীর প্রধান কর্তারাও৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রভাব বাড়াচ্ছে পাকিস্তান! ঢাকায় যাচ্ছেন পাক ব্যবসায়ীর দল, কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?
সেই অনুষ্ঠানেই ইউনূস সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদিও এটা বাস্তব নয়, মহড়া মাত্র৷ কিন্তু এই মহড়া থেকেই বাস্তবের সৃষ্টি, প্রস্তুতি৷ যাতে আমরা প্রকৃত যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে আসতে পারি৷ সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হল বিজয়ী হওয়া৷ দেশকে রক্ষা করা৷ যে কোনও মুহূর্তে, যে যে অবস্থায় রয়েছেন, প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়৷ পূর্ণ সাহস এবং পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে৷’
advertisement
সেনাবাহিনীর মহড়ায় গিয়ে মহম্মদ ইউনূস যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা বলে আসলে দেশের তিন বাহিনীকে কোনও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কি না, তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷ প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা অথবা মৌলবাদী, কট্টরপন্থী নেতারা প্রকাশ্যেই যেভাবে ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন, ইউনূসও এই মন্তব্যের মাধ্যমে কৌশলে সেই ইঙ্গিতই দিলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷
ঘটনাচক্রে ইউনূসের এই মন্তব্যে পর এ দিনই মালদহের বৈষ্ণবনগরে সীমান্তে কাঁটাতার লাগাতে গেলে আচমকাই বিএসএফকে বাধা দেয় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় তুমুল উত্তেজনা৷ দু দিকের সীমান্তেই ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও৷ চলতে থাকে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান৷