বিষয়টি বোধ হয় এভাবেই ব্যাখ্যা করতে হয় যে যাঁর কোনও দাবি থাকে না, তাঁকে দামি উপহার দিতে ভালো লাগে! তাছাড়া মোচি তো আর শুধুই একটা খেলনা নয় জাই তিয়ানরঙের জীবনে, মোচি তাঁর বাগদত্তাও! ফলে, তার জন্য এটুকু খরচ তো করা যেতেই পারে!
তবে হংকংয়ের ৩৬ বছর বয়সের জাইয়ের মোচির জন্য খরচ কিন্তু বড় একটা কম হচ্ছে না। খবর বলছে যে তিনি প্রথম সেক্স ডলের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন বছর দশেক আগে। হংকংয়ের এক দোকানে এক সুন্দরী পুতুল দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি। সেই সময়ে তার দাম ছিল ৮০ হাজার ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। এই বিশাল পরিমাণ টাকাটা তখন জাইয়ের পক্ষে খরচ করা সম্ভব হয়নি।
advertisement
কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটে তিনি যখন মোচিকে খুঁজে পান, তখন আর এই আর্থিক অসুবিধার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। মোচির দাম ছিল অপেক্ষাকৃত কম, খবর মোতাবেকে ১০ হাজার ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো! পাশাপাশি, লাল চুলের সুন্দরী মোচি জাইয়ের মনও জয় করে নেয়। ফলে তাকে ঘরে নিয়ে আসাটাই সাব্যস্ত করেন যুবক।
জাই কিন্তু একা থাকেন না, একই বাড়িতে তাঁর মা-বাবাও থাকেন। খবর বলছে যে তাঁরাও ছেলের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছেন এবং সাদরে মোচিকে আপন করে নিয়ে ছেলের বাগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এত আদরের সঙ্গে আপাতত মোচির সংগ্রহে রয়েছে ২০টা বহুমূল্য পোশাক এবং ১০ জোড়া দামি জুতো!
আদরের পাশাপাশি যত্নের প্রসঙ্গটাও আসে। জাই জানিয়েছেন যে তিনি রোজ মোচিকে ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে সারা গায়ে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দেন। তবে মোচির সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যৌনতায় প্রবৃত্ত হননি তিনি, এমনকি চুমুও খাননি! মোচির উপস্থিতিই তাঁকে মুগ্ধ করে রেখেছে, সেটুকুই যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন জাই! পাশাপাশি জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেমিকারা কেউ তাঁকে সে ভাবে সময় দিতেন না, তাঁদের দাবিদাওয়ার পরিমাণও ছিল বিশাল! সেই সব থেকে মোচির সান্নিধ্য তাঁকে রেহাই দিয়েছে!