মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার সদস্যের অনুমোদন দেওয়া নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। বিরোধী দল বেঁকে বসেছে। শুধু তাই নয়, মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টও এনেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপে মুইজ্জু সরকার। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মুইজ্জু। তারপর থেকেই নানা বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর সরকার।
মলদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) এবং ডেমোক্র্যাটস সংসদীয় গ্রুপ রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার চার সদস্যের সংসদীয় অনুমোদন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাল্টা ক্ষমতাসীন দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাংসদরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।
advertisement
দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোমবার মলদ্বীপের সংসদ মুইজ্জুর ১৯ মন্ত্রীর অনুমোদন দেয়। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল আহমেদ উশাম, ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী মহাম্মদ শাহিম আলি সইদ এবং আবাসন মন্ত্রী আলি হায়দারের অনুমোদন বাতিল করে। অল্পের জন্য মন্ত্রী পদ রক্ষা পান অর্থমন্ত্রী মহম্মদ সাইদের।
এমডিপি-র এক সাংসদ নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘মুইজ্জু গদি বাঁচাতে গতবারের মতো সাংসদদের ঘুষ দিতে পারে’। তাঁকে এবং তাঁর দলের সাংসদদের হয়রানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন, এবার জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে চালু হবে কন্ট্রোল রুম, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় নির্দেশ নবান্নের
মলদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের জন্য এক তৃতীয়াংশের সাংসদের স্বাক্ষর সহ প্রস্তাব পেশ করতে হবে। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন পেতে হবে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের। এখন মলদ্বীপের ক্ষমতাসীন প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিপিএম/পিএনসি) জোটকে চ্যালেঞ্জ করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধী দল তথা মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রয়েছে।\
মলদ্বীপের সংসদ ‘মজলিস’-এর সদস্য সংখ্যা ৮৭। বর্তমানে ৮০ সাংসদ রয়েছেন। এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাটদের ৫৬ জন সাংসদ ইমপিচমেন্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এখনও তা পেশ হয়নি। সংসদ সদস্যরা যদি প্রস্তাব জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে উত্তর দেওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হবে। ১৪তম দিনে মলদ্বীপের পার্লামেন্টে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১ ঘণ্টা সময় পাবেন মুইজ্জু। এরপর ভোট হবে। যদি ৫৪ জন সাংসদ ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন তাহলে মুইজ্জুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।