বর্তমান সরকারের বিদেশনীতির বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। তাদের কথায়, ‘দেশের জনগণের সুবিধার কথা সবার আগে ভাবা উচিত সরকারের। সঙ্গে মলদ্বীপের উন্নয়নে যে সব দেশ এগিয়ে এসেছে তাদের প্রত্যেককে নিয়ে চলা উচিত’। ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে চিন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই বিষয়ও উঠে এসেছে, ‘ভারত মহাসাগরের স্থিতি ও নিরাপত্তা মলদ্বীপের স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক’।
advertisement
আরও পড়ুন: আরও পারদপতন! ঠান্ডায় কাঁপছে বাংলার জেলা, হাড়হিম শীত কি গোটা মাসই? জানা গেল আবহাওয়ার বড় খবর
যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমডিপির চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন মন্ত্রী ফৈয়জ ইসমাইল, সংসদের ডেপুটি স্পিকার এমপি আহমেদ সেলিম, ডেমোক্র্যাট পার্টির সভাপতি এমপি হাসান লতিফ এবং সংসদীয় গ্রুপের নেতা এমপি আলি আজিম। দুই দলই একাধিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি নেন। বিদেশনীতি এবং সরকারি কাজে স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ৮৭ সদস্যের সংসদে দুই দলের মোট সাংসদ সংখ্যা ৫৫।
সাংবাদিক সম্মেলনের পর দুই প্রধান বিরোধী দল যৌথ বিবৃতিও জারি করে। তাতে দেশের আর্থিক অবস্থা এবং সরকার স্বাক্ষরিত মউ এবং চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব-সহ অন্যান্য বিষয়ে মুইজ্জু সরকারকে আক্রমণ করেন তাঁরা। বিদেশনীতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যদিও বিবৃতিতে কোনও দেশের নাম নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। তবে বলে রাখা ভাল, গবেষণা ও জরিপের জন্য মলদ্বীপে চিনা জাহাজের নোঙর করার খবর সামনে আসার পর দুই প্রধান বিরোধী দলই প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু মুইজ্জু সরকারের কট্টর ভারত বিরোধী অবস্থানে পরিস্থিতি বদলে যায়।