নিজের ট্যুইট বার্তায় মালালা নিজেই ভোগের প্রচ্ছদটি শেয়ার করেছেন বলে বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ক্যাপশনে মালালা লিখেছেন, ‘যখন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে, তখন একজন তরুণীর হৃদয়ের শক্তি আমি উপলব্ধি করতে পারি এবং আমি আশা করব, প্রচ্ছদটি দেখা প্রতিটি তরুণী নিজের মধ্যে উপলব্ধি করবেন তাঁদের মধ্যে বিশ্বকে পাল্টে দেওয়ার শক্তি রয়েছে।’
লাল-সাদা-নীল তিনরঙের পোশাকে সেজে ভোগ-এর প্রচ্ছদ কন্যা হলেন মালালা। আলোকচিত্রী নিক নাইট মালালার ছবিটি তুলেছেন। একদম নিখাদ পাকিস্তানি কন্যার সাজেই পাওয়া গেল মালালা কে,পরনে সালোয়ার কামিজ, মাথা ওড়না দিয়ে ঢাকা- কোনওকিছুতেই নিজের শিকড়ের টান ভোলেন না অক্সফোর্ডের এই কৃতি ছাত্রী। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন সাংবাদিক শিরিন ক্যালে। ভোগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক এডওয়ার্ড মালালার এই শ্যুটের ঝলক প্রকাশ্যে এনে জানান, ‘আমি যাঁদের মন থেকে অনুসরণ করে চলি, সেই তালিকায় একদম উপরে রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই’।
ভোগ ম্যাগাজিনের এই বিশেষ এডিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালালাও অনেক কথা বলেছেন। বলেছেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় প্রতিটি মুহূর্তকে তিনি চুটিয়ে উপভোগ করেছেন। কখনও তিনি ম্যাকডোনাল্ডে ঢুঁ মেরেছেন কিংবা খেলেছেন পোকার। কলেজজীবনে বেশকিছুটা সময় নিজের মতো কাটিয়েছেন জানান মালালা। একথাও বলেন, বার্কিংহাম স্কুলে পড়াশোনার সময় খ্যাতি তাঁর বড় বিড়ম্বনা ছিল। তিনি বলেছেন, লোকজন আমাকে দেখলেই জানতে চাইতেন এমা ওয়াটসন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অথবা বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো কেমন ছিল। মালালা যোগ করেন, ‘আমি ভেবে পাই না কী বলব, বিশ্রী এক ব্যাপার, কারণ স্কুলের বাইরে আমাকে অনেকে ছাত্রী বা বন্ধু হিসেবে দেখে থাকে। আমি সবাইকে একটা কথাই বলতে চাই প্রত্যেকের সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও নিজস্ব কণ্ঠস্বর প্রকাশ করতে পারলে তবেই বৈষম্যহীন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব’।