গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ৩৮ নর্থ প্রোগ্রাম নামের নিরীক্ষা সংস্থা জানায়, উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সরবরাহ দেশের জনগণের ন্যুনতম চাহিদার চেয়েও কমে গেছে। সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি ৯০ এর দশকের দুর্ভিক্ষের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্য ঘাটতির পেছনে মূল কারণ বৈরি আবহাওয়ার মাঝে শস্যের ফলন আশানরূপ না হওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন – ২৫ বছরের মধ্যে ধ্বংস হতে পারে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ! চরম হুঁশিয়ারি বিজ্ঞানীদের
লকডাউন ও করোনাভাইরাসের কারণে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ হয়ে বাণিজ্য কমে যাওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। এছাড়াও, নিষিদ্ধ ঘোষিত পারমাণবিক ও ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উত্তর কোরিয়া ব্রাত্য। গত বছর দেশটির শস্য উৎপাদনের প্রাক্কলিত পরিমাণ ছিল ৪৫ লাখ টন।
এটি ২০২০ এর চেয়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কম। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, উত্তর কোরিয়া ২০১২ থেকে ২০২১ এর মাঝে প্রতি বছর গড়ে ৪৪ লাখ থেকে ৪৮ লাখ টন শস্য উৎপাদন করে। দেশের ২ কোটি ৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর খাবারের জোগান দিতে উত্তর কোরিয়ার বৈশ্বিক খাদ্য চাহিদা ৫৫ লাখ টন শস্য। এ বছর প্রায় ১০ লাখ টনের ঘাটতি রয়েছে।
এর আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে চিন থেকে শস্য আমদানি করে এই ঘটতির অর্ধেক মিটিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিম অবশ্য জানিয়েছেন দেশের মানুষের এই কষ্ট তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি আশাবাদী তার সরকার আগামী ছয় মাসে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে। কিন্তু সেটা কথার কথা নাকি সত্যিই তিনি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন উত্তর দেবে সময়। আপাতত নিজের রাজকীয় লাইফস্টাইল নিয়েই ব্যস্ত কিম। তাকে আটকানোর কে আছে? তিনি বেতাজ বাদশা।