বুধবার ক্যাপিটলে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল সাজ সাজ রব। গোটা ওয়াশিংটন ছিল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেন চাঁদের হাট বসেছিল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা। ছিলেন আরও এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এবং তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন-সহ আমেরিকার তাবড় তাবড় সব ব্যক্তিত্ব। লেডি গাগা-র গলায় আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান । প্রথমে শপথ নেন কমলা হ্যারিস । তাঁকে শপথ গ্রহণ করান আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সনিয়া সোতোমেয়র। গোটা হল ঘর ফেটে পড়ে হাততালি আর উচ্ছ্বাসে । এরপর পোডিয়ামে আসেন জো বাইডেন । তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জন রবার্টস। সঙ্গে ছিল জেনিফার লোপেজের গান ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’ ।
advertisement
শপথ নিয়ে মার্কিনীদের উদ্দেশে অন্য এক আমেরিকা গড়ার ডাক দিলেন জো । যেখানে সাবই মিলে আশা, ঐক্য দিয়ে নতুন যুক্তরাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে । গত চার বছরে ট্রাম্প জমানায় আমেরিকায় বারবার কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলন তীব্র হয়েছে । বর্ণগত মেরুকরণ তীব্রতর হয়ে উঠেছিল । বহু দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল । সে সব ক্ষতে যেন প্রলেপ দিল বাইডেনের শপথ । তিনি বললেন, কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা বর্ণের নন, সমগ্র আমেরিকার রাষ্ট্রপতি তিনি ।
আসলে প্রথম থেকেই কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে দাঁড় করিয়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ আন্দোলনের জল নিজের দিকে টানতে চেয়েছিলেন বাইডেন । ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে । কৃষ্ণাঙ্গ ভোট তাঁর ঝুলিতে উপচে পড়েছে । তাই এখন আমেরিকাকে ফের বর্ণ নিরপেক্ষভাবে চালনা করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য ।