আজ পরিস্থিতি ভিন্ন। জাপানকে সরিয়ে আর্থিক দিক থেকে এগিয়ে গিয়েছে চিন। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ আর্থিক শক্তি চিন। তাই সুযোগ পেলেই জাপানকে চাপে রাখার চেষ্টা করে তাঁরা। সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরের অবস্থা পরিবর্তনে চিনের একতরফা প্রচেষ্টা ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জি-৭ এর টেলিকনফারেন্সে অংশ নিয়ে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। জাপান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
advertisement
এমনিতেই সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দুই দেশের বিবাদ অনেক দিনের। চিন নিজের বিমান বাহিনী এই জায়গায় পাঠিয়ে শক্তি প্রদর্শন করলে জাপানও নিজেদের বিমান বাহিনী নিয়ে হানা দেয় একই জায়গায়। এছাড়া সাগরে দুই দেশের জাহাজ বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছে। জাপানের অভিযোগ নিজেদের এলাকার বাইরেও বাড়তি এলাকা দাবি করে আসা পুরনো অভ্যাস চিনের। তাইওয়ান, মালয়েশিয়ার মত দেশকে চমকে ভয় দেখালেও জাপানকে নিয়ে কিছুটা সতর্ক থাকে চিন।
যদিও চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এতদিন। কিন্তু জাপান জানিয়েছে ভবিষ্যতে চিন শক্তি প্রদর্শন করলে তাঁরাও জবাব দিতে জানে। গত শুক্রবার রাত ১১টার টেলিকনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির এটি প্রথম জি-৭ বৈঠক।
করোনা ভাইরাস মহামারির ব্যাপারে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। পাশাপাশি টোকিও অলিম্পিক নির্বিঘ্নে আয়োজন করবে জাপান কথা দিয়েছেন তিনি।