শুধু বোমা বর্ষণ না। শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও। ইজরায়েলি বাহিনী ইরানে বোমা বর্ষণের পর ইরানও হাইফা বন্দর শহর-সহ ইজরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। রবিবার সকালে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী ঘোষণা করে যে তারা তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর ও আরও কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় গত দুই দিনে কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে বিবৃতি দিয়ে ইজরায়েল জানায়, ইরানের মোট ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন ইজরায়েলি হামলায়। ইরানের উপর ইজরায়েলি হানার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ৯ দেশের মিলিত মঞ্চ সাংহাই কোঅপারেশেন অর্গানাইজেশন।
advertisement
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর পক্ষ থেকে ইরান-ইজরায়েল চলমান সংঘাত নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়, যেখানে ইরানে ইজরায়েলের হামলার কঠোর সমালোচনা করা হয়। কিন্তু সেই বিবৃতি থেকে সরাসরি দূরত্ব তৈরি করে ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, SCO-র সেই বৈঠকে ভারত উপস্থিত ছিল না এবং উক্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি। ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে একটি স্পষ্ট বার্তা—’অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের দেওয়া সাহায্যকে ভারত ভুলে যায়নি। ফলে ইরানে ইজরায়েলের আক্রমণের বিরোধিতা না করে বরং উভয় পক্ষকে কূটনৈতিক আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে।