অমৃতপালের বক্তব্য, এক অফিসার যখন গৌরবের ঘাড়ে হাঁটু চালিয়ে দেন, তখন তিনি ক্যামেরাবন্দি করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এটা অনেকটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, গৌরবকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের গাড়ি এবং রাস্তায় ঠুকে দেওয়া হয়েছিল তাঁর মাথা। যার জেরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি।
advertisement
এরপরে রয়্যাল অ্যাডিলেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গৌরবকে। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেন যে, গৌরবের মস্তিষ্ক এবং ঘাড়ের স্নায়ু পুরোপুরি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মরণ-বাঁচন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গৌরবের সঙ্গী অমৃতপালের বক্তব্য, যদি তাঁর মস্তিষ্ক কাজ করে, তাহলে হয়তো তিনি উঠে বসতে পারেন। নাহলে হয়তো আর উঠে বসতে পারবেনও না।
গৌরবের গ্রেফতারি আড়াল করার চেষ্টা পুলিশের:
9News-এর তরফে বলা হয়েছে, যে অফিসাররা গৌরবকে গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের আড়াল করতে আসরে নামেন দক্ষিণ অস্ট্রেলীয় পুলিশ কমিশনার গ্র্যান্ট স্টিভেন্স। তাদের দাবি, বডিক্যাম ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে, তারা প্রশিক্ষণ অনুযায়ী নিজেদের কাজ করেছেন।
পুলিশের বক্তব্য, স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলার পর মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গৌরব। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হলে এর তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। পুলিশি টহলদাররা এই বিষয়টাকে গার্হস্থ্য অশান্তি বলে ভুল করেছিলেন। কিন্তু গৌরব উল্টে দাবি করেন যে, তিনি মদ্যপান করেছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় উত্তেজিত ছিলেন। তবে হিংসাত্মক কিছু করেননি তিনি।
কর্তব্যরত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জন ডিক্যান্ডিয়া বলেন যে, প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে আধিকারিকরা সঠিক ভাবেই কাজ করেছেন। যদিও এখনও তদন্ত চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার মালিনাউস্কাসও পুলিশের এই কর্মকাণ্ডকে আড়াল করেছেন। বলেন যে, সত্যিই কঠিন কাজ করেছে তারা। তাই তাদের পাশে থাকতেই হবে। যদিও ওই নৃশংস গ্রেফতারির জেরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র জনরোষ তৈরি হয়েছে। তদন্ত যেহেতু চলছে, তাই কোনও চার্জ ফাইল করা হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে গৌরবের সঙ্গী অমৃতপাল তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন।