এমন একটা সময় আসে, যখন বসতবাড়িও হারাতে হয় প্রিয়াকে। অন্নসংস্থানের জন্য তিনি পরিচারিকার কাজও করেন। শত প্রতিকূলতাতেও তিনি হন্ডা সিটি গাড়িটিকে রক্ষা করতে সমর্থ হন। কারণ ওই গাড়িতে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর মায়ের স্মৃতি। জানা গিয়েছে জীবনের শেষ কিছু দিন ওই গাড়িতেই কাটিয়েছিলেন তাঁর মা-ও।
advertisement
এর মধ্যে তাঁর ভিসাও শেষ হয়ে যায় আইনি জটিলতায়। দুবাই ছাড়তেও পারছেন না প্রিয়া। ঋণভার এবং চার বছর বেআইনিভাবে দুবাইয়ে থাকার জরিমানা স্বরূপ টাকার পরিমাণ পৌঁছেছে ২৬ লক্ষে। এই পরিস্থিতিতে তিনি গাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। অপেক্ষা করছেন আশার আলোর। অবশেষে সেই আশার আলোর উদয় হয়েছে তাঁর জীবনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রতিকূলতা জানতে পারেন যশবীর বস্সি। পঞ্জাবের এই তরুণী দুবাইয়ে উচ্চপদস্থ পদে কর্মরত। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কথা বলেন প্রিয়ার সঙ্গে। তাঁর সব ঋণের টাকা তিনি মিটিয়ে দেন চেক মারফত। যশবীরকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয়া। শুধু টাকাই নয়। উচ্চশিক্ষিত প্রিয়াকে নিজের সংস্থায় চাকরিও অফার করেছেন যশবীর। দিতে চেয়েছিলেন গাড়িও। তবে সেটা নিতে রাজি হননি প্রিয়া।