পুলিশকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি পিটিআই জানিয়েছে, ওয়াশিং মেশিন নিয়ে বিবাদের জেরে ভারতীয় ওই মোটেল ম্যানেজারের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি দা জাতীয় ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে ভারতীয় ওই ম্যানেজারকে তাড়া করছে অভিযুক্ত যুবক৷ হামলাকারীর নাগাল এড়িয়ে মোটেলের অফিসে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ওই ম্যানেজার৷ যদিও তাঁকে ধরে ফেলেন মার্টিনেজ৷
advertisement
এর পর নাগামাল্লাইয়ার স্ত্রী এবং ১৮ বছর বয়সি ছেলের সামনেই তাঁকে বার বার কোপাতে থাকে অভিযুক্ত৷ আক্রান্তের স্ত্রী এবং ছেলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের সরিয়ে দেয় অভিযুক্ত৷ শেষ পর্যন্ত একটি বেসবল ব্যাট নিয়ে অভিযুক্তকে নিরস্ত করার চেষ্টা করে নাগামাল্লাইয়ার ছেলে৷ কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির৷ মৃতের স্ত্রীর দিকেও বিপজ্জনক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত যুবক৷ তখনই মাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় মৃতের ছেলে৷
একের পর এক কোপে ততক্ষণে আক্রান্ত মোটেল ম্যানেজারের মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটেলের পার্কিং লটে সেই কাটা মাথায় লাথি মারছে অভিযুক্ত মার্টিনেজ৷ এর পর সেই কাটা মাথা তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় সে৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
এক সাক্ষীর বয়ান উদ্ধৃত করে ডালাস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার সকালে কোবোস-মার্টিনেজ এবং তাঁর এক মহিলা সহকর্মী একটি ঘর পরিষ্কার করছিলেন৷ তখনই কর্ণাটকের বাসিন্দা চন্দ্রমৌলি বব নাগামাল্লাইয়া কোবোস-মার্টিনেজ এবং তাঁর ওই মহিলা সহকর্মীকে ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে বারণ করেন৷ কারণ সেটি ভেঙে গিয়েছিল। ওই মহিলা সহকর্মী পুলিশকে জানিয়েছেন, সরাসরি মার্টিনেজকে এ কথা না বলে অন্য একজনকে সেটি অনুবাদ করে দেওয়ার জন্য বলেন ওই ম্যানেজার৷ এতে ক্ষেপে যায় মার্টিনেজ৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে এক দা নিয়ে নাগামাল্লাইয়ার উপরে চড়াও হয় সে৷
কোবোস-মার্টিনেজের আগেও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে৷ এর আগে তাকে গাড়ি চুরি এবং হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্যারোল ছাড়াই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমন কি, মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোবোস-মার্টিনেজ অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে৷
ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের প্রতিক্রিয়া
হিউস্টনে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেল X-এর একটি পোস্টে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন এবং লিখেছেন, ” ভারতীয় নাগরিক চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া, যিনি টেক্সাসের ডালাসে তাঁর কর্মক্ষেত্রে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকপ্রকাশ করছি। আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা প্রদান করছি। অভিযুক্ত ডালাস পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আমরা বিষয়টির উপরে লক্ষ্য রাখছি।”