প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও নিশ্চিত করেছে, তাদের দেওয়া Antonov-23 বিমানে করেই মলদ্বীপে চলে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। মলদ্বীপে প্রথমে রাষ্ট্রপতিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা এই বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কিন্তু তারপরে মলদ্বীপের সংসদের স্পিকার মজলিস এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহাম্মদ নাশিদ রাষ্ট্রপতির জন্য সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি করে দেন।
আরও পড়ুন- আজই পদত্যাগ করার কথা, তার আগেই মলদ্বীপে পালালেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ!
advertisement
ভারতীয় হাইকমিশন একটি ট্যুইটে জানিয়েছে, “হাইকমিশন সুস্পষ্টভাবেই ভিত্তিহীন এবং অনুমানমূলক সংবাদ প্রতিবেদনগুলিকে অস্বীকার করে যে ভারত সম্প্রতি গোটাবায়া রাজাপক্ষ এবং বেসিল রাজাপক্ষকে শ্রীলঙ্কার বাইরে বেরনোর সুবিধা দিয়েছে।”
“ভারত শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে কারণ তাঁরা গণতান্ত্রিক উপায় ও মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মাধ্যমে তাঁদের সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতিকে উপলব্ধি করতে চায়,” জানিয়েছে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন- মৃত নক্ষত্রের শেষ নাচ! অবিশ্বাস্য মহাজাগতিক ঘটনার ছবি দেখাল NASA!
ইমিগ্রেশন কর্মীরা তাঁদের যেতে দিতে অসম্মতি প্রকাশ করায় মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা থেকে অন্যত্র চলে যেতে চারটি বিমানে ওঠার সুযোগ পাননি রাজাপক্ষরা। জনগণের রোষের ভয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে না গিয়ে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমসের মধ্য দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রাজাপক্ষরা। কিন্তু তাঁদের এই দাবিতে কর্ণপাতও করেননি কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা। অবশেষে রাজাপক্ষদের না নিয়েই বিমান রওনা হয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে, বেসিল রাজাপক্ষকে ঘিরে ধরেন ক্ষুব্ধ নাগরিকরা। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও তাঁর পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দিতে অস্বীকার করে এবং বিমানে ওঠার অনুমতি দেয়না। জনগণ স্লোগান দিতে শুরু করলে বেসিল কিছুক্ষণ পরেই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তাঁর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল যেখান থেকে তিনি ওয়াশিংটন ডিসির অন্য একটি বিমানে উঠতেন।