TRENDING:

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানে উদ্বিগ্ন ভারত, ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি আমেরিকার

Last Updated:

ভারত জানিয়েছে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থায় তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে দেশটিতে যা ঘটেছে সেদিকে নজর রাখছে ভারত।চুপ করে বসে নেই আমেরিকাও। পরিস্থিতির দিকে সমানভাবে নজর রাখছে তাঁরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন  গোটা বিশ্ব। কেন, কীভাবে, কী কারণ? বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একসময়ের ব্রহ্মদেশ বা বর্মা হিসেবে পরিচিত মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর এই অভ্যুত্থান ভাল চোখে দেখছে না বিশ্ব। সোমবার সকালে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি সহ দলের অন্য প্রবীণ নেতাদের গ্রেফতার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এনএলডির মুখপাত্র এই খবর নিশ্চিত করেছেন। আসলে নভেম্বরে হয়ে যাওয়া নির্বাচনে জয়লাভ করে সু চির দল। কিন্তু এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিল সেনাবাহিনী।যাই হোক, ভারত জানিয়েছে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থায় তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে দেশটিতে যা ঘটেছে সেদিকে নজর রাখছে ভারত।
advertisement

অতীতে এবং বর্তমানেও মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ব্যাপারে ভারত সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছে। ভারত আশা প্রকাশ করেছে আটক ব্যক্তিদের কোনও ক্ষতি হবে না, পাশাপাশি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসন বহাল থাকবে। ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের। ২০১১ সালে সেনা শাসনের পর পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

advertisement

চুপ করে বসে নেই আমেরিকাও। পরিস্থিতির দিকে সমানভাবে নজর রাখছে তাঁরা। সু চি এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি জানিয়েছেন অবিলম্বে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে না দিলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে আমেরিকা। আমেরিকা মনে করে দেশটির নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়ে থাকলে সেটা নিন্দনীয় অপরাধ। কিন্তু এর মোকাবিলা অন্যভাবেও করা যায়। রাষ্ট্রপ্রধানকে আটকে রাখা এর সমাধান নয়। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দিলে ব্যবস্থা নিতে পারে আমেরিকা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

আমেরিকা মুখে না বললেও একটি মহলের বিশ্বাস মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে চিনের হাত থাকতে পারে। আসলে সু চির আমলে দেশটিতে নিজেদের দখলদারি বাড়াতে সক্ষম হয়নি চিন। তবে এই প্রথম নয়, দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী। আপাতত মিয়ানমার পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকে একসঙ্গেই চোখ রেখেছে বিশ্বের দুই সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানে উদ্বিগ্ন ভারত, ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি আমেরিকার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল