অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইমরান খান এবং বিরোধী দল পিপিপি-র নেতা শেহবাজ শরিফের কাছে পরামর্শ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন৷ তার পরই গুলজার আহমেদের নাম ঘোষণা করেন ইমরান৷
আরও পড়ুন: আপাতত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন ইমরানই! কী মন্ত্রবলে ক্ষমতা দখল, দেখলে চমকে যাবেন
advertisement
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজন মতো একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে দেশের প্রেসিডেন্টের৷ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে তিনি সেই নাম চূড়ান্ত করতে পারেন৷
প্রেসিডেন্ট আলভির জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পর্যন্ত ইমরান খানই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন৷ যদিও অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ৷ তাঁর অভিযোগ, এ ভাবে কেয়ারটেকার প্রধামন্ত্রী নিয়োগ করে আসলে আইন ভঙ্গ করেছেন ইমরান খান এবং প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি৷
প্রসঙ্গত, সোমবারই পাক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর আর আঁকড়ে থাকবেন না ইমরান খান৷ যদিও দেশের সংবিধানের ৯৪ নম্বর ধারায় দেওয়া ক্ষমতা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইমরানকে অনুরোধ করতে পারেন দেশের প্রেসিডেন্ট৷
আরও পড়ুন: আর পাকিস্তানের 'PM' নন ইমরান খান! বিজ্ঞপ্তি জারি করে 'অবিলম্বে' সরানো হল পদ থেকে...
সোমবারই ট্যুইট করে প্রেসিডেন্ট আলভি জানিয়ে দেন, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ইমরানই কাজ চালাবেন৷ অন্যদিকে সোমবারই বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন পাকিস্তানের সংসদের স্পিকার৷ এর পরই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শ মেনে বর্তমান সংসদকে ভেঙে দেন দেশের প্রেসিডেন্ট৷
দেশের এই সাংবিধানিক সঙ্কটে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়াল৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাক সংসদ ভেঙে দেওয়া সহ যে সিদ্ধান্তগুলি ইমরান গত কয়েকদিনে নিয়েছেন, সেগুলির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি৷ আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে রায় দিতে পারে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত৷