পৃথিবীর দুই প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন আর পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে উৎসাহী নয়। চিন এবং কিছুটা তুরস্ক ছাড়া পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর মত কোনও দেশ নেই। দেশে তীব্র আর্থিক মন্দা। মুদ্রাস্ফীতি চরমে। একটি ডিমের দাম তিরিশ টাকা। আদা হাজার টাকা কিলো। দেশটির বৈদেশিক রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার দুটি বৃহত্তম উৎস ছিল সৌদি এবং আমিরাত। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন কয়েক মাস আগে পাকিস্তানকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সৌদি থেকে নেওয়া তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
advertisement
অবস্থা বেগতিক দেখে সেনাপ্রধান বাজওয়াকে পাঠান ইমরান। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। নিজেদের দাবি থেকে এক চুল নড়েনি সৌদি। আমিরাত জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান যতক্ষণ পর্যন্ত জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ না করবে, যতদিন তাঁদের বিরুদ্ধে ভারত এবং আমেরিকার নাশকতার অভিযোগ থাকবে ততদিন আমিরাত পাকিস্তানকে কোনওরকম সাহায্য করতে পারবে না। ফলে দেশের গর্বের এই পার্ক বন্ধক রাখা ছাড়া আর রাস্তা নেই ইমরান খানের হাতে।