মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ এ দিকে, ওই আততায়ীকে গ্রেফতা করেছে পুলিশ ৷ তবে হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি ৷ এই ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি হয়েছে ৷ ঘটনার পরই গোটা কাওয়াসাকি জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ, দমকলবাহিনী। রাস্তায় ইতস্তত পড়ে থাকা জখমদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প খুলে ফেলা হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
advertisement
দমকল দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক ইউজি সেকিজাওয়ার কথায়, মৃত দু’জনের মধ্যে একজন পুরুষ এবং এক কিশোরী। জখমদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। নৃশংস ভাবে কোপানো হয়েছে তাদের। অধিকাংশই স্কুলের শিশু। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, কাওয়াশাকি শহরের ব্যস্ততম এলাকা যেখানে স্কুল, অফিস রয়েছে সেখানেই হামলা চালিয়েছে আততায়ী। এ দিন সকালে আচমকাই ছুরি নিয়ে পথযাত্রীদের এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই যুবক। স্কুলের সামনে গিয়ে বাচ্চাদের কোপাতে শুরু করে। মর্মান্তিক আর্তনাদে চারদিক ছেয়ে যায়। হামলা চালানোর পরে ওই যুবক নিজেকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
তদন্তকারীদের কথায়, আততায়ীকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার শরীরেও বিঁধে ছিল ছুরি। গলগল করে রক্ত বার হচ্ছিল। অথচ মুখে ছিল পৈশাচিক হাসি। ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’টি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে এই হামলা সেটা এখনও অস্পষ্ট। ওই যুবকের সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে জাপানে অপরাধের বাড়বাড়ন্ত অনেকটাই কম। গণহত্যা বা আততায় হামলার ঘটনা সেখানে খুব কমই ঘটে। ২০১৬ সালে এক মেন্টাল রিহ্যাবে এক আততায়ী একসঙ্গে ১৯ জন রোগীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। তারপর থেকে সে ভাবে হামলার ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ জানিয়েছে, এই ছুরি-হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।