এটা মূলত ভারতের জন্য বড়সড় কূটনৈতিক জয়। আসলে এই মুক্তির জন্য ভারত অফিশিয়াল এবং ব্যাক চ্যানেল ব্যবহার করেছে। দুবাইয়ে গত ১ ডিসেম্বর সিওপি২৮ শীর্ষ সম্মেলনের সময় কাতারের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ওই বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, “সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক পার্টনারশিপ এবং কাতারে ভারতীয়দের ভালর জন্য আমাদের মধ্যে বেশ ভালই আলাপ-আলোচনা হয়েছে।”
advertisement
এমনকি, কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির আলাপচারিতায় উঠে এসেছে আট ভারতীয় প্রাক্তন নৌ-সেনার মুক্তির প্রসঙ্গও। তবে কোনও দেশের তরফেই এই বিষয়ে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘দেবীর এলাকা জ্বলছে, আর উনি…,’ সন্দেশখালি নিয়ে সাংসদ নুসরতকে তুলোধনা দিলীপ ঘোষের
তবে, বৈঠকের পর থেকে বিষয়টা ইতিবাচক পথেই এগিয়েছে। কারণ, গত ৩ ডিসেম্বর নাগাদ ওই ৮ ভারতীয় প্রাক্তন নৌ-সেনা কর্তার কনস্যুলার অ্যাক্সেস পান কাতারের ভারতীয় অ্যাম্বাসেডর। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর ওই ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে আদালত। সোমবার তাঁদের মুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর নাগাদ কোর্ট অফ অ্যাপিলে শুনানি শুরু হওয়ার আগে কাতারস কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স তাঁদের মৃত্যুদণ্ড জারি করেছিল।
ভারত এই রায়কে ‘গভীর ভাবে বেদনাদায়ক’ বলে ব্যাখ্যা করেছিল। এমনকী, এই মামলায় সমস্ত আইনি বিকল্প খতিয়ে দেখার জন্য অঙ্গীকার করেছিল। গত বছরের নভেম্বর মাসে ভারতের থেকে সাহায্য নিয়ে ওই আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌ-সেনা কর্তার করা আবেদন কাতারের কোর্ট অফ অ্যাপিলে গৃহীত হয়। এরপর সেখানে গত ৭ ডিসেম্বর মূল শুনানি হয়।
ভারতের প্রাক্তন নৌ-সেনা কর্তাদের প্রতি আইনি এবং কনস্যুলার অ্যাকসেসের জন্য ক্রমাগত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও বিষয়টির উপর আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ এসেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসে ভারতীয় নাগরিক, আল দাহরা সংস্থার সমস্ত কর্মচারী এবং প্রাক্তন নৌ-সেনা কর্তাদের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। মোদি সরকারের তরফ থেকে বহু বার এর বিরোধিতা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের মুক্তির দাবিও বারবার উঠেছে। আট ভারতীয় নাগরিকের মুক্তির বিষয়টাকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। কাতারের আমিরের সিদ্ধান্তের প্রশংসাও করা হয়েছে।