রবিবার ড্রোন হামলায় তিন আমেরিকান সেনার মৃত্যু হয় জর্ডনে। আহত বেশ কয়েকজন। এরপরই একটি বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘আজ আমেরিকার হৃদয় ভারাক্রান্ত। সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্ডনে আমাদের বাহিনীর উপর ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েকজন’।
এই ঘটনায় ইরানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বাইডেন আরও বলেন, ‘হামলার তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে আমরা জানি সিরিয়া এবং ইরাকে সক্রিয় ইরান সমর্থিত জঙ্গিদের কাজ’। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি আইআরএনএ-কে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাস্তব ঘটনার পুরো উল্টো’।
advertisement
প্রসঙ্গত, হামাস-ইজরায়েল সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান সেনা নিহত হল। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান হিংসার ফলে সীমান্ত সংঘাতে ইরান জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পর দক্ষিণ ক্যারোলিনার একটি চার্চের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বাইডেন। সেখানে ‘প্রতিশোধ নেওয়া হবে’ বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
এই হামলা নিয়ে হামাসের মুখপাত্র শামি আবু জুহরি বলেন, ‘আমেরিকার প্রশাসনের কাছে বার্তা দেওয়া হল যে গাজার নিরীহ মানুষদের হত্যা বন্ধ না করলে সমগ্র (মুসলিম) জাতি রুখে দাঁড়াবে’। তাঁর দাবি, ‘গাজায় আমেরিকান ও জায়োনিস্টদের ধারাবাহিক আগ্রাসনে সমগ্র অঞ্চলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে’। অন্য দিকে, জর্ডন সরকারের মুখপাত্র মুহান্নাদ মুবাইদিন তাঁদের দেশে মার্কিন সেনার মৃত্যুতে আমেরিকার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত এখন বাইডেনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামনেই নির্বাচন। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ডেমোক্র্যাটদের নিশানা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘বাইডেনের দুর্বলতার জন্যই এমন ঘটনা ঘটল’। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ড্রোন হামলায় ৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু। অনেকে আহত। আমেরিকার জন্য ভয়ঙ্কর দিন’।
