বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নড়াইল সদর উপজেলায় এই গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে৷ ওই মহিলা নড়াইল উপজেলার এই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন৷
ওই মহিলার উপর যে শারীরিক নির্যাতিন হয়েছে এবং তাঁর পেটে বিষ মিলেছে, ময়নাতদন্তেই তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও৷ ভিসেরা পরীক্ষার জন্য তাঁর শরীরের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনেও অশান্তি বাংলাদেশে! সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ, পুড়ল ১৭টি বাড়ি
ওই মহিলার ছেলে অভিযোগ করেছেন, পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে গত মঙ্গলবার ওই মহিলাকে রাজিবুল নামে স্থানীয় এক যুবক ফোন করে৷ সেই টাকা আনতে গেলে একটি বাড়িতে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে রাজিবুল এবং তার সঙ্গীরা৷ পাশাপাশি, ওই মহিলার কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়৷ নির্যাতিতা মহিলা এই ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷
ঘটনার পর ওই গৃহবধূ বাড়িতেও ফিরে আসেন৷ প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি তিনি৷ কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় নির্যাতিতা মহিলাকে বুধবার যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার৷ সেখানেই মৃত্যুর আগে মহিলা নিজের ছেলেকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলেন এবং দোষীদের নামও জানান৷
নড়াইল সদর থানার ওসি-ও ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলেই খবর৷ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক৷
মৃতার ছেলে বলেন, ‘অত্যাচারের বর্ণনা দিতে দিতে আমার হাতের উপরেই মারা যান মা৷ আমি বিচার চাই, দোষীদের ফাঁসি চাই৷ আমার মা যেন সুষ্ঠু বিচার পান৷ আমার আর কিছু চাওয়ার নেই৷’