মার্কিন বিদেশসচিব পদে কাজ করার সময় নিয়মবিরুদ্ধভাবে সরকারি সার্ভারের বদলে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল হিলারির বিরুদ্ধে ৷ ২০১৫ সালে হিলারিই ই-মেল ব্যবহারের অনিয়ম প্রকাশ্যে আসে ৷ যদিও ততদিনে বিদেশ সচিব পদে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন হিলারি ৷ ২০১২ সালেই বিদেশ সচিব পদ ত্যাগ করে রাজনীতিতে আসেন ক্লিন্টন ৷
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্যাম্পেন চলাকালীন বারবার এই বিষয়টি নিয়ে হিলারিকে আক্রমণ করে এসেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ এই ঘটনার তদন্তভার ছিল FBI-এর হাতে ৷ নির্বাচনের চুড়ান্ত পর্বের মাত্র ১১ দিন আগে নতুন করে হিলারির কয়েকটি ইমেল-এর সন্ধান পায় FBI-এর তদন্তরকারীরা ৷ নতুন করে শুরু হয় তদন্ত ৷ হাতে নতু অস্ত্র পেয়ে প্রচারের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারির প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ৷
advertisement
তদন্ত শেষে FBI- ডিরেক্টর জেমস কোমে রবিবার জানিয়েছেন, এজেন্সি নতুন ইমেলগুলি পরীক্ষা করে দেখেছে ৷ এতে আপত্তিজনক কিছু পাওয়া যায়নি ৷ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন সম্পর্কে আগে এজেন্সির যে মতামত ছিল এখনও তা একই আছে ৷ সরকারি সার্ভারের বদলে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করার জন্য হিলারির জন্য কোনও ক্রিমিনাল চার্জ গঠন করা হবে না ৷ কাজটি নিয়মবিরুদ্ধ হলেও কোনও গুরুতর অপরাধ তিনি করেননি ৷
এদিন FBI সাফ জানিয়ে দেয় যে, হিলারি গাফিলতি করলেও বিদেশ সচিব থাকাকালীন কোনও দুর্নীতি করেননি ৷
ভয়ঙ্কর অপরাধ করে হিলারি পার পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এফবিআই জানে হিলারি অপরাধী। নির্বাচনের আগে একটি জনসভায় তিনি দাবি করেন, ৮ দিনে সাড়ে ৬ লক্ষ ই মেল খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। হিলারি অভিযোগ থেকে মুক্ত খবর প্রকাশিত হতেই চাঙ্গা মার্কিন শেয়ার বাজার।