৮৯ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন গ্লাইন। তিনি নিজে অসাধারণ। সাধারণ মেয়েদের বিয়েও করেননি। তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে একদিকে যেমন ছিলেন কৃষককন্যা, অন্যদিকে ছিলেন চোর ও মাদকাসক্তরাও। কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ছিল কয়েক বছরের। কিছু বিয়ে টিকেছিল কয়েক মাস। কয়েকটা বিয়ে গড়িয়েছিল মাত্র কিছু দিন। তার পরও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তিনি প্রত্যেক স্ত্রীকে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে সম মর্যাদায় ভালবেসেছিলেন।
advertisement
ইহজীবনে ৩২ বার বিয়ে করেও ১৯৯৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয় সম্পূর্ণ কপর্দকহীন ও নিঃসঙ্গ অবস্থায়। নার্সিংহোমে তাঁর দেহ নেওয়ার জন্যেও হাজির ছিলেন না কেউই। শেষে তাঁর ১৯ জন সন্তানের মধ্যে একজন, ৩৩ বছর বয়সি জন ওল্ফ রাজি হন অন্ত্যেষ্টি করতে।
বহু বিবাহিত গ্লাইনের জন্ম ১৯০৮ সালে। তিনি প্রথম বিয়ে করেন ১৯২৬-এ। তাঁর সবথেকে দীর্ঘ বিয়ে স্থায়ী হয়েছিল ১১ বছর। সবথেকে স্বল্পস্থায়ী বিয়ে ছিল মাত্র ১৯ দিনের। ৩ জনকে ডিভোর্স করার পর আবার তাঁদেরই বিয়ে করেন। ২৮ নম্বর স্ত্রী ক্রিস্টিন ক্যামাচোর সঙ্গে কাটান ১১ বছরের দাম্পত্য। এমনকী, যুবরানি ডায়ানাকেও বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
নার্সিংহোম কর্মীরা জানিয়েছেন শেষ শয্যায় গ্লাইনকে কষ্ট দিত একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গতা। তিনি নাকি কিছুতেই এই অবস্থা মেনে নিতে পারেননি। এমনকী মাঝে মাঝেই তিনি প্যানিক অ্যাটাকেরও শিকার হতেন।