ইউক্রেনের রাজধানী কিভ থেকে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইভানকিভ৷ প্রায় এক মাস রুশ সেনার দখলে থাকার পর গত ৩০ মার্চ মুক্ত হয় ইভানকিভ৷ রুশ সেনার দখলে থাকার সময় বেশ কিছু কিশোরী ও যুবতীর উপরে রাশিয়ার সেনার নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে৷
আরও পড়ুন: জাগবে না আর, তবু ইউক্রেনে যুদ্ধে মৃত মালিকের দেহের পাশে অপেক্ষায় পোষ্য সারমেয়!
advertisement
অভিযোগ, বেশ কয়েকজন মহিলা বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকার সময় তাঁদের চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে বের করত রুশ সেনারা৷ এর পর তাঁদের উপরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়৷
আরও পড়ুন: জানেন কোথায় থাকেন ভ্লাদিমির পুতিনের দুই সুন্দরী কন্যা, দু'জনের গোপন জীবন সামনে
শহরের ডেপুটি মেয়র মারিয়া বেসচাস্টানা বলেন, 'যাতে নিজেদের কম আকর্ষণীয় লাগে সেই জন্য মেয়েরা নিজেদের চুল ছোট করে কেটে ফেলতে শুরু করে৷' আইটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেসচাস্টানা অভিযোগ করেছেন, ইভানকিভ শহরের কাছেই একটি গ্রামে ১৫ এবং ১৬ বছর বয়সি দুই বোনকে ধর্ষণ করে রুশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷
তবে শুধু ইভানকিভ নয়, ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশ থেকেই রুশ সেনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে৷ ইউক্রেনীয় এক মহিলা নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, রাশিয়ার সেনারা তাঁর স্বামীকে হত্যার পর তাঁকে ধর্ষণ করে৷ রুশ সেনারা যখন এই নির্যাতন চালাচ্ছিল, তখন তাঁর চার বছরের শিশুপুত্র আতঙ্কে পাশের ঘরে কাঁদছিল বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা৷