এই প্রসঙ্গে সবার আগে ভারকিউলের লেখার সূত্র ধরে যোনি না থাকার ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন যে নিবন্ধে উল্লিখিত তরুণীর যোনিছিদ্র বলে কোনও কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। তাঁর শরীরে ইউরেথ্রাল মেটাস (Urethral Meatus) এবং লাবিয়া মিনোরার (Labia Minora) মধ্যবর্তী অংশে কেবল একটা ফুসকুড়ির মতো দেখতে গুটি পাকানো চামড়ার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এই বিরল শারীরিক অবস্থাকে ব্লাইন্ড ভ্যাজাইনা (Blind Vagina) নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। কেন না, চোখ না খুলতে পারার মতোই এখানে যোনিদেশ উন্মুক্ত হওয়ার উপায় নেই, সে কারণে সঙ্গমকালে তাঁর শরীরের অভ্যন্তরে পুরুষের প্রবেশ করাও দুঃসাধ্য!
advertisement
ভারকিউল জানিয়েছেন যে তরুণী যখন হাসপাতালে আসেন, তখন তার তলপেটে একটা বেশ গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল, স্বাভাবিক ভাবেই রক্তাক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গী দুই তরুণও ছিলেন রক্তাক্ত। ভারকিউলের বক্তব্য অনুযায়ী ছুরির আঘাত একবারই এত জোরে করা হয়েছিল যে পেটের মাঝামাঝি দু'টো ফুটো হয়ে গিয়েছিল ওই তরুণীর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু অস্ত্রোপচার করার সময়ে তাঁরা গ্যাসট্রোইনটেসটিনাল ট্র্যাক্টে কোনও কিছুর অস্তিত্ব দেখতে পাননি বলেই জানিয়েছেন।
এক্ষেত্রে আবার দেখা দেয় প্রশ্ন- যোনিপথে লিঙ্গ প্রবেশ করানো না গেলে কী ভাবে ওই তরুণী গর্ভবতী হলেন? ভারকিউল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে নিজের এ হেন শারীরিক দশা নিয়ে অবগত ছিলেন তরুণী, ফলে তিনি ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত ছিলেন। ছুরিকাঘাতের ঠিক আগেই তিনি তাঁর নতুন প্রমিককে মুখমেহনের মাধ্যমে তৃপ্ত করেছিলেন, ফলে ওই তরুণের শুক্রাণু তাঁর শরীরের ভিতরে কণ্ঠনালীর মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করেছিল। অন্য দিকে, হাতেনাতে এই ঘটনা ধরে ফেলার পরে তাঁদের একটা ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেন তরুণীর প্রাক্তন প্রেমিক, যার জেরে সবাই আহত হন।
এই জায়গায় এসে আবার খটকায় পড়তে হয়। ph লেভেল কম হলে শুক্রাণু বেশিক্ষণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তাহলে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে কী ভাবে মা হলেন ওই তরুণী? ভারকিউল জানিয়েছেন যে লালারসে ph লেভেল বেশি থাকে। অন্য দিকে, ছুরিকাঘাতের জন্য ওই তরুণীর শরীরে তখন আর অ্যাসিড উৎপন্ন হয়নি। ফলে এই ছুরিকাঘাতই বলা যায় অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে, তার জন্যই ওরাল সেক্সেও গর্ভবতী হয়েছেন ওই তরুণী।
ভারকিউল জানিয়েছন যে ঘটনার ২৭৮ দিনের মাথায় একটি স্বাস্থ্যবান পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই তরুণী!
