শিং? হ্যাঁ, আপনি ঠিক পড়েছেন। ছবিতে যেমন দেখছেন কপালে- ওটা শিংই। প্লাস্টিক সার্জারির চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা বলে যদি কিছু হয়ে থাকে, তা হলে এটা হচ্ছে ঠিক তাই। এত দিন চিত্রতারকারা এই সব বিদঘুটে কাণ্ড করতেন। নাক লম্বা করতেন, কান ছোট করতেন, চোখ টানা-টানা করতেন। আর যে কী কী করতেন, সে তাঁরা আর তাঁদের ঈশ্বরই জানেন। তবে ৬১ বছরের রলফ কোনও তারকা নন। ৪০ বছর বয়সে তিনি প্রথম ট্যাটু করিয়েছিলেন। আর তার পর থেকে বিগত ২১ বছরে ৫১৬ বার নিজের শরীর নিয়ে নানা পরীক্ষা করেছেন তিনি। এত কিছুর পরেও তাঁর সাধ মেটেনি বলেই দাবি রলফের।
advertisement
একটি টেলিকম সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের কর্মচারী রলফ। তাঁর ঠোঁটে, ভুরুতে, নাকে এতগুলো পিয়ারসিং আছে যে আগের রলফ আর এই রলফ, যেন দু'জন আলাদা ব্যক্তি বলে মনে হয়। তবে রলফ বলেছেন তিনি অসংখ্য ট্যাটু, পিয়ারসিং আর মাথায় দুটো শিং করেছেন বলে কিন্তু তার ভিতরটা একটুও পাল্টায়নি। তিনি সেই আগের রলফই আছেন। কিন্তু বলুন দেখি, আপনার পরিচিত কেউ যদি আচমকা মাথায় এক জোড়া শিং নিয়ে আপনার সামনে উপস্থিত হন, তা হলে আপনার খুব একটা ভাল লাগবে?
জনতার প্রতিক্রিয়ার এই সমস্যায় রলফকেও পড়তে হয় বইকি!
২০১৪ সালে একবার দুবাই বিমানবন্দর পৌঁছন রলফ, আর তখনই তাঁর সাজ দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়ে যান। তাঁর সাজের ঠেলায় তাঁকে হোটেলেও ঢুকতে দিতে নারাজ হন হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে রলফের বয়েই গিয়েছে। অন্যত্র থাকার বন্দোবস্ত করে নিয়েছিলেন তিনি টাকার জোরে! এই যে একজোড়া শিং গজানোর জন্য ভারতীয় মুদ্রায় তিনি প্রায় এক লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন, সেটা কি সবাই চাইলেও করতে পারেন? সম্প্রতি গিনেস বুক তাদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে রলফের একটি ভিডিও শেয়ার করার পর আবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।