ফ্লয়েড পক্ষ চেয়েছিল অন্তত ৩০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হোক ডেরেক শভিনকে। শেষমেশ অবশ্য২২ বছরের শাস্তি ঘোষণা করেছে মার্কিন আদালত । রায় ঘোষণার পর মার্কিন বিচারক বলেছেন, যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন এই পুলিশকর্তা, যে প্রক্রিয়ায় মার্কিন জনতার বিশ্বাসভঙ্গ করেছিলেন তিনি, তাতে তাকে এই সাজা ভোগ করতেই হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রের খবর, জর্জ ফ্লয়েডের পরিবার এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
advertisement
২০২০ সালের মে মাসের ঘটনা। ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটুর চাপ দিচ্ছেন শভিন, ৯ মিনিটের এই ভিডিও সারাবিশ্বে ভাইরাল হয়। শভিনের অকথ্য অত্যাচারে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে গোটা আমেরিকা উত্তাল হয়। যেভাবে এই পুলিশ অফিসার ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু চেপে ধরেছিলেন এবং যেভাবে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না এই কথা উচ্চারণ করে রীতিমতো ছটফট করতে করতে ফ্লয়েড মারা যান, তা আমেরিকাবাসীর ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। গোটা সিস্টেমটাই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় গণরোষে। আছড়ে পড়ে ব্ল্যাকলাইভ ম্যাটারস আন্দোলন। শভিন যদিও দাবি করে আসছিলেন তিনি কোন আইন ভাঙেননি। বিচার চলাকালে আদালতে জো়ডি স্টিগার বলে এক বিশেষজ্ঞকে আনা হয় তিনি ছবি দেখিয়ে বুঝিয়ে দেন শভিন কী ভাবে মাত্রাতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ করেছিলেন।
গত ২১ এপ্রিলই শভিনকে অপরাধী ঘোষণা করা হয়। অবশেষে শুক্রবার তাকে শাস্তি দান করা হলো। ঐতিহাসিক, সমাজকর্মীরা সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিকরা মনে করছেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে এই ঘটনা চিরতরে লেখা থাকবে। অনেকে অবশ্য এমনও বলছেন যে তারা মনে করছেন ফ্লয়েডের হত্যাকারীকে যথেষ্ট শাস্তি দেওয়া হয়নি।