সে কথায় আসার আগে দু'-একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। গালাপাগোস দ্বীপের এই পেঙ্গুইনরা তাদের প্রজাতিতে সব চেয়ে ক্ষুদ্রকায়, লম্বায় বড় জোর ৩৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে এরা। এর পাশাপাশি খবর বলছে যে এই পেঙ্গুইনদের মতো একই ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গালাপাগোস দ্বীপের ফাইটলেস কর্মোর্যান্টের সংখ্যাও।
কী এই ফাইটলেস কর্মোর্যান্ট?
এরা এক ধরনের পাখি, হাঁসের সঙ্গে কিছু মিল পাওয়া যায় এদের। গালাপাগোস দ্বীপের কর্মোর্যান্ট এই কারণেই বিশেষ যে এরা ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে অভিযোজনের পথে। তবে ওই সূত্র ধরেই রপ্ত করে নিয়েছে জলে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটা, মাছ ধরে পেট ভরানোর ক্ষমতা।
advertisement
তো, খবর আমাদের জানাচ্ছে যে সে-ই ১৯৭৭ সালের পর এত উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে গালাপাগোসের কর্মোর্যান্টের জনবসতি। ২০১৯ সালেও সংখ্যাটা যেখানে ছিল ১৯১৪, ২০২০ সালে সেখানে তা এসে ঠেকেছে ২২২০-তে! আর পেঙ্গুইনদের ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে পরিসংখ্যান ছিল ১৪৫১, এখন গালাপাগোস দ্বীপে তারা সংখ্যায় সাকুল্যে ১৯৪০!
গালাপাগোস ন্যাশনাল পার্ক এবং চার্লস ডারউইন ফাউন্ডেশনের প্রাণিবিদরা বংশবিস্তারের এই সুখবরের নেপথ্যে দায়ী করছেন কোভিড ১৯ সংক্রমণকেই! তাঁদের দাবি, বিশ্ব জুড়ে লকডাউনের প্রভাবে কমে গিয়েছে পর্যটকদের যাতায়াত, যার জেরে এই পাখিদের প্রজননভূমি অনেক বেশি নিরুপদ্রব থেকেছে। পরিণামে বংশবৃদ্ধির হার হয়েছে চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া আবহাওয়ার প্রভাবের ইতিবাচক দিকের কথাও বলতে ভুলছেন না প্রাণিবিদেরা। তাঁদের মতে, এই সময়ে আবহাওয়ায় লা নিনার প্রভাব দেখা গিয়েছে। এর জেরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উষ্ণ জলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তীব্র বাতাস, শীতল জল উঠে এসেছে উপরে। পরিণামে পেঙ্গুইন হোক বা কর্মোর্যান্ট- কোনও প্রজাতিরই খাবার পেতে অসুবিধা হয়নি। বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই পেয়েছে তারা। তাই বংশবিস্তারও ঘটেছে দ্রুত গতিতে।