অভিযুক্ত প্রাক্তন ডাক্তার লো স্কোয়ারনেক আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে৷ বলেছে, ৩০ বছর ধরে হাসপাতালে শিশুদের ধর্ষণ করেছে সে৷ তবে সব ক্ষেত্রে নিজেকে দোষীও মনে করে না সে৷ তার কথায়, ‘‘আমি জানি এই আঘাতগুলি অপূরণীয়৷ আমি সেই সময়ে আর ফিরে যেতে পারব না৷ এই সকল মানুষ এবং তাদের প্রিয়জনরা যে আঘাত আমার হয়ে সহ্য করেছেন তার জন্য তাঁদের কাছে আমি ঋণী।’’
advertisement
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ ইতিমধ্যে ২০২০ সালে শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি যে ১৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন তার সঙ্গে এই বাড়তি কারাবাসের সাজা যুক্ত হতে পারে। কিছু ভুক্তভোগীদের এই ডাক্তারের আক্রমণের কথা মনে নেই, কারণ তারা তখন অজ্ঞান ছিলেন। ত্রিশের কোঠায় বয়সী একজন ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে ১৯৯৫ সালে যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন একটি কনসাল্টেশনের সময় তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল।
তদন্তকারীরা যখন তদন্ত শুরু করেন, তখন তাঁরা তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০,০০০ এরও বেশি আপত্তিকর ছবি, ৬৫০টি পিডোফিলিক, ভিডিও ফাইল পায়৷ সেইসঙ্গে নোটবুক খুঁজে পায় যেখানে সে নিজেকে একজন পিডোফাইল হিসেবে বর্ণনা করে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ অভিযুক্তর বাড়ির কাঠের মেঝের নিচে একটি পূর্ণাঙ্গ আকারের পুতুলের সংগ্রহও আবিষ্কার করেছে যা সে তার যৌন তৃপ্তির জন্য ব্যবহার করত। তার ডায়েরিতেও সে পুতুলদের প্রতি তার আসক্তি প্রকাশ করেছে। ডায়েরির নথি থেকে গোয়েন্দারা এটাও জানতে পেরেছে যে ডাক্তারের এই কদর্য প্রবণতার কথা তার প্রাক্তন স্ত্রী জানতে পেরেছিলেন ১৯৯৭ সালে৷
তার দুই ভাইঝি-সহ মোট ৪ জন শিশুকে যৌন হেনস্থা করার ঘটনায় ২০২০ সালে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয় এই প্রাক্তন ডাক্তারের৷ তার আগে ২০০৫ সালেও শিশুদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাকে জেল খাটতে হয়৷ কিন্তু এত সব কিছুর পরও জেলমুক্তির পরই হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে যোগ দেয় সে৷ তার হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে আত্মঘাতী হয়৷ কেউ কেউ মদ ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে৷ আতঙ্ক কাটাতে না পেরে অনেকেই সাবালক জীবনে পারেনি সম্পর্কে আবদ্ধ হতে৷