ফ্রান্সের মাজাঁ এলাকার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির আসল নাম দোমিনিক বলে জানা গিয়েছে ওই প্রতিবেদনে৷ অভিযোগ, প্রতি রাতে স্ত্রীর খাবারের সঙ্গে তিনি অ্যান্টি অ্যাংজাইটি ড্রাগ লোরাজেপাম মিশিয়ে দিতেন৷ তার পর তাঁর আমন্ত্রণে বাড়িতে আসতেন বিশেষ ‘অতিথিরা’৷ যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতেন দোমিনিকের ঘুমন্ত স্ত্রীর সঙ্গে৷ অভিযোগ, সেই যৌনতার ভিডিয়ো রেকর্ড করতেন দোমিনিক৷ তার পর সেভ করে রাখতেন ইউএসবি ড্রাইভে৷ ফাইলের নাম দিয়েছিলেন ‘অ্যাবিউসেস’৷ ফাইলটি এখন তদন্তকারী পুলিশের হাতে৷
advertisement
তিন সন্তানের বাবা দোমিনিক জেরায় জানিয়েছেন তাঁর দাম্পত্য পেরিয়েছে ৫০ বছর৷ গত ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এই ঘৃণ্য অপরাধ চালিয়ে গিয়েছেন৷ অবলম্বন করেছিলেন একাধিক সাবধানতাও৷ নৈশ অভিসারে আগত সেই বিশেষ অতিথিদের তিনি বলতেন তামাক বা পারফিউম ব্যবহার না করতে৷ তাহলে স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল৷ তাছাড়া তাঁর নির্দেশে অতিথিরা উষ্ণ জলে হাত ধুয়ে নিতেন৷ যাতে কোনওভাবে শীতল হাতের স্পর্শে স্ত্রীর ঘুম ভেঙে না যায়৷ তাঁরই নির্দেশে সঙ্গমের আগে পুরুষরা নিজেদের বিবস্ত্র করতেন বাড়ির রান্নাঘরে৷ যাতে ঘরে এদিক ওদিকে তাঁদের পোশাক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে না থাকে৷ পড়শিদের সন্দেহ এড়াতে তাঁরা গাড়িও পার্ক করতেন বাড়ি থেকে বেশি কিছুটা দূরে এক স্কুলের কাছে৷ তার পর বাকি পথ হেঁটে আসতেন অন্ধকারে৷
দোমিনিকের আর এক অপরাধের সূত্রে ফাঁস হয়ে যায় এই নিকৃষ্ট অপরাধ৷ ২০২০ সালে তিনি মহিলাদের কাপড় বদলানোর ঘরে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিলেন৷ সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায় তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এই কুকীর্তি চালিয়ে গিয়েছেন৷ এদিকে স্বামীর আসল রূপ জানার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন দোমিনিকের স্ত্রী৷ স্বামীকে ডিভোর্স করেছেন মানসিক আঘাতে বিধ্বস্ত এই মধ্যবয়সিনী৷